বুধবার ১ মে ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: বিদ্যুতের রেকর্ড উৎপাদনের পরেও লোডশেডিং    নির্বাচনে প্রার্থীরা চাইলেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই : ইসি    টানা সপ্তমবার স্বর্ণের দাম কমানো হলো     মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি    মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা : আইনমন্ত্রী    ইইউ জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা প্রকাশ     মরদেহ সংরক্ষণ ও কঙ্কাল চুরি ঠেকাতে রুল জারি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাঙালির নির্ভরতার প্রতীক শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা
#বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আমাদের গৌরব: অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত। #শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কীর্তি অমর হয়ে থাকবে: শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয় বেঁচে আছেন বলেই বাংলাদেশ বেঁচে আছে: ড. শাহিনূর রহমান।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৫২ পিএম আপডেট: ১৪.০৯.২০২১ ১১:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

সেপ্টেম্বর মাস আমাদের জন্য একটি সুখের ও আনন্দের মাস কারণ, এই বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ঘটনা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার সময় আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আল্লাহর আশীর্বাদে তারা হয়তো সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। আমরা আসলে কখনো কল্পনা করতে পারবো না যে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রথম যখন তাদের পরিবারের এই মৃত্যুর খবরটি শুনতে পারলেন তখন তাদের মানসিক অবস্থাটা কেমন ছিল। যেকোনো মানুষের জন্য প্রিয়জন হারানো অত্যন্ত বেদনার।



দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬২তম পর্বে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডি সদস্য, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, আজকে সংলাপের শুরুতে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। এছাড়া বঙ্গমাতাসহ যারা ১৫ আগস্টের কালরাতে নিহত হয়েছেন এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। এই মাসটি আমাদের জন্য একটি সুখের মাস, আনন্দের মাসে কারণ এই যে, বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ঘটনা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার সময় আল্লাহর অশেষ রহমতে তার দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারনে বেঁচে গিয়েছিলেন। আল্লাহর আশীর্বাদে তারা হয়তো সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। হয়তোবা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পরিণত করা, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে তোলা এবং দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আল্লাহ তাআলা। গতকাল আমাদের আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ রেহানার জন্মদিন ছিল সেজন্য তাকে আজকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং এই মাসের ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন সেজন্য আমি তাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ থেকে ৪৫ বছরের বেশি সময় আগে একজনের বয়স ছিল হয়তোবা সাতাশ আটাশ বছর আরেকজনের বয়স ছিল উনিশ-বিশ বছর। সেই সময়টিতে পুরো পরিবারকে হারিয়ে এই যে প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে সেই কষ্ট বয়ে বেড়ানো শুধু তাদের পক্ষে সম্ভব যারা দেশকে ভালোবাসে, দেশের মানুষকে ভালোবাসে, আর যারা পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চান, সোনার বাংলা গড়তে চান, আসলে তাদের পক্ষে সম্ভব অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা জানি যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়তো বা তার জন্মদিনের সময়টিতে হয়তো দেশে থাকবেন না, পরিবারের সাথে জন্মদিন পালন করবেন এবং জাতিসংঘের মিটিংও আছে সেখানে, তাই তাকে অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে আমাদের ছোট নেত্রী শেখ রেহানা একজন নিভৃতচারী মানুষ যিনি কিনা পেছন থেকে কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। তিনি তার বোনকে সব সময় আগলে রাখেন, তার সাথে থাকেন এবং তিনি পরামর্শ দেন শেখ হাসিনাকে কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। বংশানুক্রমিকভাবে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুল, একজন বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করছেন, আরেকজন বাংলাদেশের অবহেলিত মানুষ সেই অটিস্টিক শিশুদের কথা চিন্তাও করেনা, তাদেরকে নিয়ে তিনি শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে শেখ রেহানার তিন সন্তান তারা কিন্তু দেশে থেকে বিভিন্নভাবে অনেক কাজ করতে পারতেন কিন্তু তারা সেটা না করে তারা উচ্চ শিক্ষিত হয়েছেন। একজন এমপি হয়েছেন ইংল্যান্ডে আর দুজন উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করছেন এবং দেশের গণতান্ত্রিকভাবে উন্নয়নের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। এটা আসলেই আমাদের জন্য গৌরবের যে, বঙ্গবন্ধুর মতো তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য মানুষের মত মানুষ হয়েছেন এবং তারা দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারবে তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, এই মাসটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের মাস কারণ এই মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর ছোট তনয়া শেখ রেহানা আপার জন্মদিন যেটা গতকাল হয়ে গিয়েছে আর এই মাসেরই ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয় তার সাথে সেদিন আমরা হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, সদ্য বিবাহিত পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে। আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশের বাহিরে ছিলেন। আমরা আসলে কখনো কল্পনা করতে পারবো না যে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রথম যখন তাদের পরিবারের এই মৃত্যুর খবরটি শুনতে পারলেন তখন তাদের মানসিক অবস্থাটা কেমন ছিল। যেকোনো মানুষের জন্য প্রিয়জন হারানো অত্যন্ত বেদনার। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নরপিচাশরূপি খুনিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। ১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে এ বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন শেখ হাসিনা।  আজকের বাংলাদেশের চিত্র আর মাত্র এক দশক আগের বাংলাদেশের চিত্রের ভিন্নতা অনেক। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করলে উন্নয়ন ও অর্জনের পাল্লা ভারী। কৃষি, শিক্ষা, কূটনীতি, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে ঘটেছে সরব বিপ্লব। কয়েক বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। গ্রামাঞ্চলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটত অধিকাংশ মানুষের। এখন তারা অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল গ্রামের পর গ্রাম। অধিকাংশ ঘরবাড়ি ছিল মাটির দেয়াল অথবা পাটখড়ি বা বাঁশের বেড়া আর খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের সেই চিত্র আর নেই। অধিকাংশ বাড়িঘর দাঁড়িয়ে আছে ইট-সিমেন্ট অথবা টিনের ওপরে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা গ্রামাঞ্চল থেকে প্রায় বিতাড়িত হয়েছে বললেও ভুল হবে না। বদলে গেছে তলাবিহীন ঝুড়ির কথিত ভাবমূর্তিও। মঙ্গা নামক শব্দটি এখন ইতিহাস। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে। 

ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আজকের ভোরের পাতার সংলাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই মাসটি আমাদের বাঙালি জাতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে আমাদের জননেত্রী, সুযোগ্য রাষ্ট্র নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবার এই মাসেই আমাদের ছোট আপা অর্থাৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট তনয়া শেখ রেহানা জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার যে, এই মাসেই আমাদের এই দুই নেত্রীর জন্ম হয়েছে আমাদের এই বাঙালি জাতির কাণ্ডারি ধরার জন্য। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এই দুটি নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে এজন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে এই দুই বোনের ভূমিকা অনন্য। শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রত্যক্ষ। রেহানার ভূমিকা নেপথ্যের। বঙ্গবন্ধু-হত্যার পর লন্ডনেই প্রথম বাংলাদেশে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। শেখ হাসিনা আশির দশকের শুরুতেই দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরে গিয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। শেখ রেহানা লন্ডনে অবস্থান করেন এবং বিদেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি তখন নববিবাহিতা; স্বামী-সংসার দেখার পাশাপাশি অভিবাসী বাঙালিদের রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকেও লক্ষ্য রাখতেন। তবে নিজে রাজনীতিতে সামনে আসতেন না। ১৯৭৫ সালে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের হারানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাল্যকাল থেকেই পিতার রাজনৈতিক আদর্শে বেড়ে উঠেছেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক ঘটনা দিয়ে এই উদার-হৃদয়ের মানুষদের আমরা চিনতে পারি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ব্রিটিশ সরকার তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। সেখানেই অদ্যাবধি অবস্থান করছেন তিনি। তবে প্রতিবছর বাংলাদেশে কিছুদিনের জন্য অবস্থান করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপই বাংলাদেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন মাইলফলক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে ভারী শিল্পের উন্নয়ন এবং পদ্মা সেতু, মেট্রারেলসহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর নেওয়া সাহসী পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাসের চলমান মহামারি থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে যেসব উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন সেগুলোও অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখেছে। সরকারের অনেক সফলতা আসলেও এই যাত্রা মসৃণ ছিল না। এই সময়ে পিছু ছাড়েনি ষড়যন্ত্র। সামনে এসেছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। বিএনপি-জামায়াতের চরম রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলা করে দেশ যখন স্থিতিশীল পরিবেশে অর্থনৈতিকসহ নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধারায়, ঠিক তখনই আবার নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে জঙ্গিবাদ। তবে এসব চ্যালেঞ্জের বেশিরভাগই স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট নয়, বরং ষড়যন্ত্রমূলকও। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোরের পাতা সংলাপ   শেখ হাসিনা   শেখ রেহানা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]