#যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা: চৌধুরী হাফিজুর রহমান। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ: ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
গ্রামাঞ্চলে একটা কথা আছে, ‘যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান’। আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার বেলায় এই কথাটি খুবই সঠিক। কারণ জাতির জনকের যে আদর্শ সেটা জননেত্রী শেখ হাসিনা বুকে ধারণ করে বাবা, মা, ভাই, বোন সবাইকে হারিয়েও বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন এটা খুবই অভূতপূর্ব। তাই এই কথাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তাঁর জন্য যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। সারা পৃথিবীতে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন একটি দেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি পরিবারের ধ্বংসস্তূপ থেকে সেই পরিবারের ভাবনা নয় সারা বাংলাদেশকে ভেবে তাঁর পিতার যে আদর্শ ছিল সেটার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৫৪তম পর্বে শনিবার (২৯ মে) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- লিংকনস ইন লন্ডন (পাবলিক একসেস) ১২ ওল্ড স্কয়ার চেম্বার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা চৌধুরী হাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতি, ইবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
চৌধুরী হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটা কথা আছে, ‘যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান’। আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার বেলায় এই কথাটি খুবই সঠিক কারণ জাতির জনকের যে আদর্শ সেটা জননেত্রী শেখ হাসিনা বুকে ধারণ করে বাবা, মা, ভাই, বোন সবাইকে হারিয়েও বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন এটা খুবই অভূতপূর্ব। তাই এই কথাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তাঁর জন্য যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। একটা সময় ছিল ধানমন্ডির সে বাড়িতে যেখানে তাঁর পরিবারের প্রায় সবাই নিহত হয়েছেন। সেই বাড়িতেই তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে ঢুকতে পারলেন না। আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুন যে, দেশে নিজের বাবা, মা, ভাই, বোন সবাইকে হারিয়ে সে দেশে ঢুকতে পারলেন না এবং কয়েকবছর পরে দেশে ঢুকতে পারলেও তিনি তার ঘড়ে ঢুকতে পারলেন না তখন। এবং বাংলাদেশের পার্লামেন্টে আইন প্রণয়ন হয়েছিল যে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না! ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি ভারত থেকে ফিরে এসেছিলেন প্রিয় জন্মভূমিতে। বাংলাদেশ তারপর থেকে নতুন করে পথ চলা শুরু করে। তাঁর প্রত্যাবর্তনের পর এদেশ পুনরায় ‘জয়বাংলা’র বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬-২০০১ সালে সরকার গঠনের পর পার্বত্য শান্তি চুক্তি এবং গঙ্গা পানি চুক্তির মত ঐতিহাসিক দুটি চুক্তি হয়। ২০০৯ সালে নির্বাচনী বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এবার শুরু থেকেই জঙ্গিবাদ ও পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের কলঙ্ক হয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধগুলোর বিচার কার্যক্রম হাতে নেন তিনি। তার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই শত বাধা ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে সম্পন্ন হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আজকের বাংলাদেশের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে¡ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর আগে নেপালে, মালদ্বীপসহ আমেরিকায়ও বাংলাদেশ এইরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এক সময় বিদেশিদের শোষণ ও নীলকরদের অত্যাচারের শিকার, এরপর পাকিস্তান আমাদের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। বাঙালির উপর জুলুম-নির্যাতন, অত্যাচার, শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের আত্ম বলিদান, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর নরক যন্ত্রণার সাগর পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জন করলাম লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলার পোড়া-মাটি ও নির্যাতিত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করে দেশ পুনর্গঠনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন, ঠিক তখনই পাকিস্তানি হায়েনার দোসর মোশতাক-জিয়ার ষড়যন্ত্রে ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারকে নির্মম হত্যাকাণ্ডে থমকে দাঁড়ালো বাংলাদেশ। যার জন্য আজও আমরা সারা পৃথিবীর কাছে কলঙ্কিত আছি। সারা পৃথিবীতে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন একটি দেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি পরিবারের ধ্বংসস্তূপ থেকে সেই পরিবারের ভাবনা নয় সারা বাংলাদেশকে ভেবে তার পিতার যে আদর্শ ছিল সেটার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। পৃথিবীতে এই বিরল দৃষ্টান্ত আরেকটি আছে কিনা আমার জানা নেই। কাজেই আমি আমার প্রধানমন্ত্রীকে আবার স্যালুট জানাচ্ছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনার পদস্পর্শে সেই জল্লাদের দেশ পুনরায় সোনার বাংলা হয়ে ওঠার প্রত্যাশায় মুখরিত হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর সব চাইতে উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর অধিকাংশই শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর ’৯৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পান। দৃঢ়তা ও সক্ষমতা নিয়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে সংবিধানকে কলঙ্কমুক্ত করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের কাজ শুরু করেন। ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করে। ২০০৮-এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কাজই সম্পন্ন করেননি, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ করে চলেছেন। সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছে। এই ক্রান্তিকালেও তিনি লক্ষাধিক গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। যা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ তথা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গৃহহীনদের জন্য উপহার।