বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: আগামী নির্বাচনের সময় জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত   ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনের রিমান্ডে   ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ৬ মামলা বাতিল   নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নাসির উদ্দীন সিইসি   ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন ক্রিকেটার মঈন আলী   বিক্ষোভরত অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া   জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা ও স্মার্ট বাংলাদেশ
খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু কন্যা বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারে থাকায় আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থিত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সারা দেশের মহা উন্নয়ন যেন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে যুগ থেকে যুগান্তর।  পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবেনা। পক্ষান্তরে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নিবেদিত প্রাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দিনেরাতে।  আওয়ামী লীগকে তৃণমূল বিস্তৃত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর নির্বাসিত কন্যা শেখ হাসিনা চরম দুঃসময়ে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে হাল ধরেছেন। গণতন্ত্রের সংগ্রামে দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন। বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। এই উদ্যোগ শেখ হাসিনাকে সুযোগ করে দিয়েছিল দলকে ঐক্যবদ্ধ করার। সেই ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয় লাভ করে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা যে অসম্ভব কাজটি সম্ভব করে তুলেছিলেন সেটি হচ্ছে, তার পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। আর বাঙালি জাতির আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও হাতে এলো তার। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথ ও পাথেয় হয়ে কাজ শুরু করলেন। প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, ঐকান্তিকতা, যুক্তিবাদী মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা, দুরদুর্শীতা, দেশপ্রেম ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা যে অসম্ভব কাজটি সম্ভব করে তুলেছিলেন সেটি হচ্ছে, তার পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো এবং পরবর্তীকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। আর বাঙালি জাতির আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও হাতে এলো তার। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথ ও পাথেয় হয়ে কাজ শুরু করলেন। প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয় দল হিসেবে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এনেছেন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির পাশাপাশি সব ধরনের শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে সবসময় রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার, প্রতিবাদী ভূমিকা রেখে এসেছে এবং এখনও রাখছে। এই দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন মানুষের ভাগ্যের উন্নতি ঘটে। এ দলের জন্মকাল থেকে শুরু করে এই দেশের ইতিহাস সেই সত্যের স্বাক্ষর বহন করে।

বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি দেশের একটি আজ বাংলাদেশ। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারী শিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, স্বামী নিগৃহীত ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার। একটি দেশের উন্নয়নে বিদ্যুতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। 

অনবরত বিদ্যুৎ ঘাটতি দেশের ধাবমান উন্নতির চাকাকে মন্থর করে দিয়েছিল। অর্থাৎ দেশটিতে দীর্ঘকালের স্থায়ী বিদ্যুৎ সমস্যা, যার কোনো সমাধান পূর্ববর্তী সরকারগুলো দিতে পারেনি-আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে। এ উৎপাদন শুধু গৃহস্থালি কাজেই নয়, বিদ্যুৎনির্ভর অন্য মাধ্যমকেও সচল রেখেছে, যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করেছে। অন্যদিকে বেড়েছে সরকারের রাজস্ব আয়ও। প্রায় সর্বত্রই দুর্নীতি অভিযোগ থাকলেও সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিয়েছে কৃষি খাত ও তার ব্যবস্থাপনা। আমাদের মতো জনবহুল দেশে সীমিত কৃষিযোগ্য ভূমির সতর্ক ও যৌক্তিক ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। আমাদের কৃষিপণ্যের আমদানিনির্ভরতা অনেকাংশেই কমে গেছে। আর এ কৃষি বিপ্লবের কারণেই ১৭ কোটি মানুষের দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা গেছে, যা দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক। আজকের এই কৃষি বিপ্লবের শতভাগই আওয়ামী লীগের উদ্ভাবন।

আমাদের রাজস্ব, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোশাক এবং জনশক্তি রফতানি। ব্যক্তি মালিকানায় শুরু হলেও সরকারের আগ্রহেই এ দুই খাত যথেষ্ট গতি অর্জন করেছে। যার ফলে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি গতি পেয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বেকার সমস্যারও অনেকটা সমাধান হয়েছে। রফতানিযোগ্য এমন সব পণ্য রয়েছে, যা শতভাগ ব্যক্তি উদ্যোগে রফতানি করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পোশাক তৈরির কর্মপরিবেশকে গ্রহণযোগ্য রাখতে সরকার ও মালিক পক্ষের এখনও অনেক কিছু করার রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে বরাদ্দ বাতিল করলে আওয়ামী লীগ সরকার সেটাকে চ্যালেঞ্জরূপে গ্রহণ করে। নিজস্ব অর্থায়নে সরকার সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেতুটির অস্তিত্বই এখন আমাদের সবার কাছে মুখ্য। এই সেতু পাল্টে দিচ্ছে আমাদের অর্থনীতি।গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার অবকাঠামো নির্মাণে ব্রতী হয়েছে। ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস ও মেট্রোরেল ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলছে কাক্সিক্ষত ও স্বপ্নের মেট্রোরেল। সম্প্রতি উদ্বোধন করা হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতুর রেল, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭টি পরিবারের ২৭ লাখ মানুষকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৫ জন ব্যক্তি অভিবাসী কর্মী হিসেবে বিদেশে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি থেকে জীবন বাঁচাতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছেন। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছি।একটানা বেশি সময় দেশ শাসনের সুযোগ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। তার স্বীকৃতি জাতিসংঘের এই এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার ২০২১। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন। এর আগে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে অন্যতম সফল এবং অনুকরণীয় তিনজন নারী সরকারপ্রধানের একজন নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তা প্রধানমন্ত্রী কঠোর পরিশ্রম ও মেধা-মনন দিয়ে বাস্তবায়িত করে যাচ্ছেন এক নাগাড়ে। বিশ্বনেত্রীর হাত ধরেই এই দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো ঝকঝকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে অল্প সময়েই। একমাত্র শেখ হাসিনাই পারবেন উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। সন্তানের থেকে বেশি পরম মমতায় ভালোবেসেছেন দেশকে। পিতার অসমাপ্ত কাজ যে সমাপ্ত করতে হবে। নির্মাণ করতে হবে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক আর ভবিষ্যতের আধুনিক বাংলাদেশ। এটি বর্তমান প্রজন্মেরও প্রত্যাশা। গত ১৫ বছরে দেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনায় আছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করছে। এ জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে পেরেছে। দেশ আজ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত বছর ৪ কোটি ৪ লাখ টন চালসহ ৪ কোটি ৭২ লাখ টন দানাদার শস্য উৎপাদিত হয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, সবজি, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ২ ভাগ। মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনায় আছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সরকারের সময়ে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। অক্টোবর মাসে উদ্বোধন করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বববৃহৎ পায়রা সেতু। গত নভেম্বরে দেশের ২৫টি জেলায় ২০০টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। দেশের অনেক মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। অন্যগুলোর কাজ চলছে।

বিশ্বে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এখন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২ এর জন্য কাজ চলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন রক্ষা পায় এবং উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে সে জন্য ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। পুরো বিশ্ব আজ এক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনাভাইরাস মহামারির কবলে পড়ে বিশ্ব। ২০২০ এবং ২০২১ এই দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নামে। 
আমাদের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়ে। করোনাভাইরাস মহামারির সেই ক্ষতি কাটিয়ে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের যুদ্ধ নয়; সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়ংকর অর্থনৈতিক যুদ্ধ। অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রভাব কোনো একক দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের প্রাণহানি যেমন কমানো গেছে, তেমনি অর্থনীতিকে সচল রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করাই এই সরকারের মূল লক্ষ্য। মানুষের ভোগান্তি হোক, কষ্ট হোক-তা কারও কাম্য নয়। বৈশ্বিক কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। তা এখন অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ কোনো জিনিসের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে সরকার তা সমন্বয় করছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের মাটি উর্বর। মাটিতে বীজ ফেললেই যেখানে গাছ জন্মে, ফল হয়, সেখানে বাইরে থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করতে হবে কেন? আমাদের প্রতিটি ইঞ্চি জমি পতিত না রেখে কাজে লাগাতে হবে। সংকট আসবে। সংকটে ভয় পেলে চলবে না। সবার সহায়তায় আমরা করোনাভাইরাস মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দাও বাংলাদেশ সফলভাবে মোকাবিলা করবে।’

প্রকাশ, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রেরণাদায়ী অঙ্গীকার ঘোষণা করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। অনেকের কাছে তখন অবাস্তব মনে হলেও দেশের যুবসমাজ এটিকে লুফে নেয়। তখন লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। সঠিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন আর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেশ হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ আজ বিপ্লব সাধন করছে। অদম্য গতিতে আমরা চলছি তথ্যপ্রযুক্তির এক মহাসড়ক ধরে।
২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি টেকসই ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি তার প্রবন্ধটিতে কীভাবে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সাতটি সমস্যার মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা যায়, কীভাবে দেশ ও জাতিকে একটি স্মার্ট স্তরে উন্নীতকরা যায়; দেশের নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য, দুর্নীতি, স্বৈরাচার, সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করা যায়। সর্বোপরি সকলের জন্য একটি বাসযোগ্য জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা যায়  তার উল্লেখ করে ছিলেন।

২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার প্রায় ১৩ বছর পর ৭ এপ্রিল ২০২২ প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ রূপকল্প বাস্তবায়নের ধারণা দেন। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলার ঘোষণা দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠন। তিনি ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ জন্য ৪টা ভিত্তি (১) স্মার্ট সিটিজেন, (২) স্মার্ট ইকোনমি, (৩) স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং (৪) স্মার্ট সোসাইটি ঠিক করে দেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হলো স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করা। যেখানে প্রতিটি নাগরিক হবে স্মার্ট। সবাই প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে। এজন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নানা অনুষঙ্গকে ধারণ করে তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন এবং ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ৯২টি হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণ করা হচ্ছে। সারাদেশে ছয় হাজার ৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার এবং ১৩ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগোপযোগী শিক্ষা চালুর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

 
স্মার্ট সিটিজেন তৈরির পাশাপাশি স্মার্ট ইকোনমি সিস্টেম চালু করতে হবে। ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি। যাতে সম্পূর্ণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে সম্পূর্ণ হবে। কারিগরি ও প্রযুক্তির উন্নতির কারণে মানুষের ক্ষমতা অসম্ভব বেড়েছে। গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। ব্যাংক খাতে অনেক ধরনের সেবা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন), সিডিএম (ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন), সিআরএম (ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন) এজেন্ট ব্যাংকিং, বিইএফটিএন (বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক), এনপিএসবি (ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ) কিউআর কোড, বিনিময় প্রভৃতি। ১৫ থেকে ২০ বছরে এই পরিবর্তনগুলো এসেছে। এভাবে বাংলাদেশ ক্যাশবিহীন লেনদেনের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নিরক্ষর মানুষটিও যেভাবে একটি মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারেন, অনেক দেশে এখনও তা অকল্পনীয়। আমাদের এখানে অনেকেই এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) ও ডিএফএস (ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) সেবা দিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরেই মানুষ ব্যাপকভাবে মোবাইল আর্থিক সেবা গ্রহণ করছেন। আর্থিক সেবার উন্নয়ন করতে ব্যাংকিং খাতের কয়েক দশক সময় লেগেছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ থেকেও বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবা দারুণভাবে সফল হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনে যাওয়ার আর একটা সুবিধা হলো, সব লেনদেনের ইলেকট্রনিক রেকর্ড থাকে। এমএফএসে আগে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ২৯ শতাংশ। এখন এটা ২০ শতাংশ। নারীদের ব্যাংক হিসাবও কমেছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর কারণ হলো সামাজিক নিরাপত্তা খাত ও পোশাককর্মীদের এমএফএস এই অর্থ দেয়া। কভিডের সময় মোবাইল আর্থিক সেবার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার বিকাশ ঘটেছে একদম সাধারণ মানুষের হাত ধরে। আমাদের গাড়িচালক, শ্রমজীবী মানুষ, গৃহকর্মী তারাই এই সেবাটা প্রথম শুরু করেছিলেন। ২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে আনার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে। আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন লাইনের পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে সব ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা। এক যুগ আগে চালু হওয়া মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ হয়ে উঠেছে এসব সেবা গ্রহণের প্রধান মাধ্যম। ফলে ছোট আর্থিক লেনদেন ও সেবা নিতে ভোগান্তি এখন ইতিহাস। লেনদেন আরও সহজ করতে বেসরকারি খাতরে ১০টি ব্যাংক নিয়ে একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ  নেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতের এই ১০টি ব্যাংকের উদ্যোগে প্রস্তাবটি এ ব্যাংকের নাম হবে ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি।

স্মার্ট গভর্নমেন্ট:  ২০৪১ সালে সরকার ব্যবস্থা হবে অনেকটা ‘অদৃশ্য সরকার ব্যবস্থা’। মানুষ যে কোনো ধরনের সেবা পাবে কোনো ধরনের মানুষের প্রত্যক্ষ সহায়তা ব্যতীত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, জননিরাপত্তা, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি একান্ত ব্যক্তিগত সেবাসমূহ হবে সম্পূর্ণ পেপারলেস। এখন নানা অ্যাপভিত্তিক সেবা এসেছে। কিন্তু সবাই অ্যাপ ব্যবহার করেন না। ভোক্তাদের জন্যই সেবার সৃষ্টি হয়। ডিজিটাল সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন ভোক্তা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন, সেটা জরুরি। দেশে ডিজিটাল সেবার সংখ্যা দুই হাজার একশতটিরও বেশি এবং দিন দিন ডিজিটাল সেবার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অধিকাংশ নাগরিকই কমবেশি ডিজিটাল সেবায় অভ্যস্ত। দেশের সকল নাগরিককে ডিজিটাল সেবায় অভ্যস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট হেলথকেয়ার, স্মার্ট ট্যাক্স,  স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পোস্টাল সার্ভিস, স্মার্ট জুডিশিয়ারি, স্মার্ট বর্ডারস, স্মার্ট সোশ্যাল সেফটি নেট, পুলিশ মডার্নাইজেশন, স্মার্ট যোগাযোগ, ডিজিটাল কানেকটিভিটি  এ সেবাগুলো এখন দৃশ্যমান। দেশের মানুষ খুব সহজেই এ সেবাগুলো পাচ্ছে। সরকারি সেবা প্রদানকে দেখা হচ্ছে সেবাগ্রহীতার চোখে, সেবাদাতার চোখে নয়।

স্মার্ট সোসাইটি: স্মার্ট সোসাইটি বলতে মূলত অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থাকে বোঝাবে যেখানে সমাজের সকল শ্রেণির নাগরিক ও টেকসই জীবনযাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রযুক্তিগত সহনশীলতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ প্রভৃতি মানবিক বিষয় নাগরিকদের মধ্যে প্রোথিত থাকবে। স্মার্ট সিটির জীবনযাত্রা হবে স্থিতিশীল, প্রাণোচ্ছল যার চালিকাশক্তি আসবে একটি সমন্বিত প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্ম থেকে। বাংলাদেশের জনগণকে বিভিন্ন সেমিনার, প্রশিক্ষণ মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি মননে ও মেধায় প্রবেশ ঘটিয়ে ক্ষমতায়িত করা হবে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশের নাগরিককে সরকারের নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সহায়ক-কার্যকর শক্তি হিসেবে আবির্ভূত করানোই হলো স্মার্ট সিটিজেন ধারণার বাস্তবায়নে অন্যতম উদ্দেশ্য। সরকার শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের শহর ও গ্রামের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য দিন দিন কমে আসছে।  স্মার্ট সোসাইটিতে পরবিশেবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে। সইে সঙ্গে থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা। অর্থাৎ নাগরিক সেবার সর্বোচ্চ মানগুলো নিশ্চিত থাকবে। শহরের আধুনিক উপকরণগুলো গ্রামে পৌঁছে দেয়া এবং গ্রামের সবুজায়ন শহরে নিয়ে আসা হবে। পরিবশ ও প্রতিবেশে সুরক্ষার গুরুত্ব দেয়া হবে।

আগামীর বিশ্বে বাংলাদেশ  অনেক বিষয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। তার আগাম ধারণা কিন্তু বাংলাদেশ পুরো বিশ্ববাসীকে দিয়ে রেখেছে। সমসাময়িক সময়েও বাংলাদশে আন্তর্জাতিক ফোরামে  নেতৃত্ব দিচ্ছে, রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আগামীর বাংলাদেশে মেধা ও পরিশ্রমের জয়গান প্রতিষ্ঠা হবে। তখন শোষণ ও বৈষম্যের জায়গায় দখল করবে সাম্য ও স্বাধীনতা। নাগরিক জীবনের এসব প্রত্যাশা পূরণ করবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ; যা করতে মানুষের জীবনযাত্রায় হাতের মুঠোয় থাকবে সবকিছু। আর সে পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। মহান আল্লাহ তায়ালা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সুস্থতার সাথে শতবর্ষের উপরে নেক হায়াতে তাইয়্যেবাহ দান করুন আমিন।

লেখক: উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 
চেয়ারম্যান, ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]