প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৮:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস)’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আকতার সরকারি গাড়ি চাপা হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগউঠেছে। ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন জানিয়ে অবিলম্বে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আকতারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি।
ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ সমিতির কার্যালয়ে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির নেতৃবৃন্দ জরুরী সভায় মিলিত হন।
সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমিতি প্রধান প্রকৌশলী শামীম আকতারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি তুলে বলেছে, বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস)’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলামকে হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আকতার সরকারি গাড়ি চাপা দিলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সমিতির কার্যালয়ে সদস্য প্রকৌশলীগণ জরুরী সভায় মিলিত হন।
সভায় নেতৃবৃন্দ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে প্রধান প্রকৌশলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সভার সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণসহ কেন্দ্রীয় পরিষদের পরবর্তী সভায় আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সভা শেষে ঘটনার প্রতিবাদে পূর্ত ভবন চত্বরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ বিক্ষোভ মিছিল করে। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মোহাম্মদ রায়হান মিয়া, সহ সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান,যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুছ প্রমুখ।
ঘটনার বর্ননা করে সমিতি বলেছে, ১৫ মে সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান প্রকৌশলী আহ্বানকৃত পূর্বনির্ধারিত পেশাগত বিষয়ে আলোচনার জন্য সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলীর সাথে মিলিত হন। আলোচনায় কোন ধরনের সিদ্ধান্ত না দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী সভাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় পূর্ত ভবনের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা সমিতির নেতৃবৃন্দের উপর দিয়েই গাড়ী চালিয়ে যান এবং দ্রুত সরতে গিয়ে সাধারণ সম্পাদক ও একাধিক নেতৃবৃন্দ গাড়ির ধাক্কায় আহত হন।
পরবর্তীতে সাধারণ সসম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম পায়ে তীব্র ব্যাথা অনুভূত করলে দ্রূত বাংলাদেশ অর্থোপেডিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পায়ে এক্স-রে করে প্লাস্টার করে দেন এবং ১৪ দিন বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সেল ফোনে কয়েক দফা কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।