প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
‘এমভি আবদুল্লাহ’র সেই ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে ‘এমভি জাহানমণি’ নামে একটি জাহাজ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২ টার দিকে জাহাজটি কুতুবদীয়া থেকে রওয়ান হয়।
বিকাল ৪ টা নাগাদ এটি চট্টগ্রামে পৌঁছার কথা রয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকালে জাহাজটি কুতুবদীয়ার পৌঁছানোর পর ২৩ নাবিককে তীরে পাঠাতে নাবিকদের অন্য একটি দল সোমবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে উঠেছে। তাদের কাছে সকালে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সেই ২৩ নাবিক ১২ টার দিকে রওয়ানা হন।
আজ বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের সংবর্ধনা দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা পরিবারের ফেরার কথা রয়েছে।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমবি আব্দুল্লাহ। জাহাজটি কর্তমানে কুতুবদিয়া চ্যানেলে আছে। বিকল্প একটি টিম দেওয়া হয়েছে সেই জাহাজে। আর জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে নামবে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায়। এনসিটি জেটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর নাবিকরা যার যার ঘরে চলে যাবেন। জিম্মি হওয়ার ৬৩ দিন পর নাবিকরা আজ স্বজনদের দেখা পাবে।
জানাগেছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে লাইটারেজ জাহাজ লাগিয়ে সেগুলোর কিছু অংশ খালাস করা হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এনে খালাস করবে জাহাজটি।
প্রসঙ্গত গত ১৩ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজ। দস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি মুক্ত হয়েছে বলে আলোচনা আছে। যদিও টাকার এই অঙ্ক কখনও স্বীকার করেনি জাহাজটির মালিকপক্ষ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। এটি ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙ্গর করেছিল। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ভোরের পাতা/আরএস