প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ৫:৪২ পিএম আপডেট: ১২.০৫.২০২৪ ৫:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
৬০ বছর আগের কথা। রোগীদের সেবায় যাত্রা শুরু করে চন্দ্রা নার্সিং হোম। সেই ধারাবাহিকতায় অনেক সুনামের পর অত:পর ২০০২ সালে সাগর গ্রুপ নিয়ে আসে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি স্পেশাল টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল, নাম হয় সাগর হাসপাতাল। ২০০৯ সালে একই নামে ৪৫০ শয্যার আরেকটি আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তারা৷ ২২ বছরের পথচলার সফলতায় একটি নির্ভরযোগ্য ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে এটি। বাংলাদেশ, আফ্রিকা সহ পৃথিবীর সাতটি দেশ থেকে নিয়মিত রোগীগণ এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
সল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা-মানের কারণে সাগর হাসপাতালের সুনাম দিকে দিকে ছড়িয়েছে। মজার ব্যাপার, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও তাদের চিকিৎসা এখানে করিয়ে থাকেন। ৫ টি সমৃদ্ধ ইন্সটিটিউট যেমন- নিউরোসায়েন্স, কার্ডিয়াক, গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলজি, নেফ্রোলজি এবং ইউরোলজি এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক এ-আই, রোবোটিকস সেবায় অনন্য সাগর হাসপাতাল। আবার, শিশুদের নিউরো সমস্যা ও অটিজম তথা মানসিক চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের অসংখ্য রোগী উক্ত হাসপাতালে গমন করে থাকেন। এই হাসপাতালের আরেকটি বিশেষত্ব হল তরুণ বয়সীদের হাড় বা হাটুর জন্য 'গোল্ড প্লেট সার্জারী' করা হয়, যেটি অনন্য এবং স্থায়ী সমাধান।
সম্প্রতি ঢাকার বসুন্ধরাস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির হল-১ এ অনুষ্ঠিত (৯-১১ মে) মেডিটেক্স বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৪ এ সাফল্যের সাথে অংশ নিল সাগর গ্রুপ ও হাসপাতাল। একটি বড় স্টলের মাধ্যমে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা পরামর্শ এবং পরবর্তী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ নিয়ে বিনামূল্যে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন উপস্থিত বিশেষজ্ঞবৃন্দ। এবার নিয়ে চতুর্থবারের মত মেডিটেক্স বাংলাদেশ এক্সপোতে অংশ নিল সাগর হাসপাতাল।
"জীবনের জন্য, আপনার পাশে"- এই স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সাগর হাসপাতাল। সেরা বহুমুখী সেবা ও শ্রেষ্ঠ জাতীয় কোভিড ব্যবস্থাপনার কারণে ২০২০-২০২৩ একটানা টাইমস ইন্ডিয়ার বিজনেস এওয়ার্ড অর্জন করেছে হাসপাতাল। এছাড়াও ১৪০ জন বিশেষজ্ঞ পূর্ণকালীন চিকিৎসক এবং শতাধিক ভিজিটিং চিকিৎসক সহ দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক মানের সনামধন্য এক হাসপাতাল হয়ে উঠেছে এটি। দুটো হাসপাতাল মিলে এখন প্রায় ৭০০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে, যেটি একত্রে পাচ্ছে 'স্টেট অব দ্যা আর্ট' রাজ্য সুবিধা।
ডা: হেমচন্দ্র সাগর চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন, ডা: প্রেমচন্দ্র সাগর ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঈশিকা মুলতানি সভাপতির ভূমিকায় রয়েছেন। তাদের অসামান্য অবদানে কর্ণাটক রাজ্যের প্রথম বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করে সাগর হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রথমবারের মত সফলভাবে করে অনন্য নজীর স্থাপন করেছে হাসপাতালটি।
জবা মিত্র রায় গত নয় বছর ধরে এই হাসপাতালের মিডিয়া, কমিউনিকেশনস ও আন্তর্জাতিক মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তার সুচারু অভিজ্ঞতার আদলে সাগর হাসপাতালের নাম ছড়িয়ে পড়ছে দেশে বিদেশে। তিনি মেডিটেক্স বাংলাদেশ এক্সপোতে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি জানান- "৩০০ শয্যার কোয়ার্টারনারী কেয়ার ২০২২ সালে সাগর মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্যাধুনিক সব মেশিনারী এবং সেরা চিকিৎসা জ্ঞানের মাধ্যমে রোগীদের সেবা দেওয়ার চর্চায় সাগর হাসপাতাল অনন্য। ৩৬৫ দিন ২৪/৭ এম্বুলেন্স সেবা আমাদের রয়েছে।" সাগর হাসপাতাল নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে- www.sagarhospitals.in সাইট থেকে।