প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ১১:৪৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে আজও ব্যর্থতায় মোড়া ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর সেখান থেকে জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগার অধিনায়ক ধীরগতির ইনিংস খেলে ফিরলেও, অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেন রিয়াদ। শেষদিকে জাকের আলীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান।
রবিবার (১২ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে চতুর্থ ম্যাচে সফল হলেও আজকের ম্যাচে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ ছিলেন তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির বলে কাভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচে অর্ধশতক তুলে নেওয়া তানজিদ হাসান তামিম। তার বিদায়ে ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তানজিদের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ৭ বলে ৭ রান করে ব্রায়ান বেনেটের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তাওহীদ হৃদয়। ৬ বলে মাত্র ১ রান করে ব্রায়ান বেনেটের বলে উইকেটরক্ষক ক্লাইভ মাদান্দের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতে ভর করে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে থাক টাইগাররা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ২৮ বলে ৩৬ রান করা শান্ত। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙার ফলে ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
শান্তর বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ তিনি ৩৬ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এই দুই অভজ্ঞ ব্যাটারের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে এই জুটিকে আর বেশিদূর এগোতে দেননি লুক জংউই। লুক জংউইয়ের বলে জোনাথন ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। আউট হওয়ার আগে করেন ১৭ বলে ২১ রান।
সাকিবের পরে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৪৪ বলে ৫৪ রান করে ব্লেজিং মুজারাবানির বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর শেষের দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও জাকের আলি অনিকের ১২ বলে ২৯ রানের জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জাকের আলি অনিক ১১ বলে ২৪ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।