প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ৯:৫৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ। তাইতো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়।সেই হিসাবে আজ ১২ মে বিশ্ব মা দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালিত হয় দিনটি।
তবে অনেকের মতে, মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের প্রতি প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। জানেন কি? আজ থেকে বহু বছর আগে এভাবেই এক মেয়ে তার মায়ের জন্য প্রবর্তন করেছিলেন মা দিবস। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখতে সচেষ্ট হন।
ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। আনা জার্ভিস ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা।
তার মা অ্যান মেরি সারাজীবন অনাথদের সেবা করে জীবন কাটিয়েছেন। ১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য মেরির উৎসর্গিত জীবনের কথা অজানাই থেকে যায়। লোকচক্ষুর আড়ালে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন তার মেয়ে আনা জার্ভিস।
জার্ভিস নতুন এক উদ্যোগ নেন। মা অ্যান মেরির মতো ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় ‘মা দিবস’। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে ‘মাদারিং সানডে’ নামের এক অনুষ্ঠান পালন করা হত। যা মূলত ছিল মায়েদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মাকে সম্মান জানাতে বিভিন্ন জাতি এমন অনেক আচার অনুষ্ঠান পালন করত। তবে আধুনিককালে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
চাইলে আজ দিনটি বরাদ্দ করতে পারেন আপনার মায়ের জন্য। বছরের অন্যান্য দিনগুলো মাকে ভালোবাসি বলতে না পারলেও আজ বলুন। মায়ের সঙ্গে সময় কাটান। উপহার দিতে পারেন মায়ের কোনো পছন্দের কিছু। একদিনের একটু ছোট্ট ট্যুর দিয়ে আসতে পারেন মাকে নিয়ে কিংবা একসঙ্গে ডিনার করলেন মায়ের পছন্দের কোনো রেস্তোরাঁয় তার প্রিয় খাবারগুলো দিয়ে।