প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ১২:৫৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে সফলতা দেখা পেয়েছেন শাকিল ইসলাম। আয়াত্ত করেছেন ভার্চুয়াল জগতের নানাবিধ জাদুকরী সব সমাধান। অধ্যবসায় ও চেষ্টা সাফল্যের শীর্ষ স্থানের ছোঁয়া পেতে সহযোগীতা করেছে শাকিলকে। ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল সকল কাজে রয়েছে আশ্চর্যজনক আয়াত্ত এই তরুণের।
তরুণ এই উদ্যোক্তার বাড়ী বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার আব্দুল্লাহ ইউনিয়নে। স্কুল জীবনর পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্টিত করার গভীর ইচ্ছাশক্তি তাকে নাড়া দিতো।
শাকিল আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নয়টা পাঁচটার চাকরির সাথে মানিয়ে নিতে নারাজ। তাই তিনি ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। যদিও শুরুটা সহজ ছিল না, প্রথমদিকে কাজ না পেয়ে চরম হতাশায় ভেঙে পড়েন কিন্তু তার দৃঢ় প্রচেষ্টা জেদ এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র দেড় বছরে ঘুরে দাঁড়ান। বনে যান একজন সফল উদ্যোক্তা। শাকিল এর এই উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পেছনে প্রধান অবদান রাখেন তার বড় ভাই ইলিয়াস কোবরা। বলা যেতে পারে বড় ভাইয়ের হাত ধরেই তার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আসা এবং শাকিল এবং তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে তাদের পরিবারের চার ভাই এখন সফল ফ্রিল্যান্সার। তারা প্রতি মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় করছে। তাদের এই সফলতা দেখে এলাকার কিছুসংখ্যক মানুষ এই কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে পরবর্তীতে শাকিল এবং তার বড় ভাই এলাকার অসংখ্য মানুষকে কাজ শেখার সুযোগ করে দেন এবং তৈরি করেন তাদেরই মত অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার।
তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, শুরুটা ছিলো শূণ্য হাতে। তবে ইচ্ছা শক্তি ছিলো প্রবল। ইচ্ছা শক্তির উপর ভর করে পথচলা শুরু হয়েছিলো। ধীরে ধীরে কাজ শিখে নিজের মত করে সব আয়াত্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং সহ ওয়েবসাইটের নানাবিধ কাজে পারদর্শী হয়ে উঠেছি। প্রতি মাসে সন্মানজনক আয়ের যোগ্যতা অর্জন করেছি। তরুণ প্রজন্ম চাকরির পিছনে দৌঁড়ে নিজের উজ্বল সময় নষ্ট করে পরে বেকারত্ব নিয়ে ভোগান্তীতে পড়ে যায়। তরুণদের উচিৎ ভার্চুয়ালী সকল কাজে নিজেকে উপযুক্ত করে তোলা। ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা আয় করটা এখন তুচ্ছ বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্য বেশ কিছু বেকার শিক্ষিত তরুণকে কাজ শিখিয়েছি। তারা বর্তমানে মোটামুটি প্রতিষ্টিত। সামনে পরিকল্পনা রয়েছে বাছায়কৃতভাবে কিছু তরুণকে ডিজিটাল মার্কেটিং সহ নানাবিধ কাজ শিখাবো।