প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ৮:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মোংলা বন্দর জেটিতে জাপান থেকে আমদানীকরা বিভিন্ন ব্রান্ডের রিকন্ডিশন গাড়ী থেকে মেমোরী কার্ড ও মুল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করে পাচারের অভিযোগে দুই জনকে আটক করে মোংলা থানায় সোপর্দ করেছে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। বুধবার ভোর রাতে থানায় সোপর্দ করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
মোংলা বন্দরের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার এমভি লোটস লিডার ও এমভি মালেশিয়া স্টার নামের দুইটি বিদেশী জাহাজ নঙ্গর করে মোংলা বন্দরে। সেই জাহাজ থেকে গাড়ী খালাস করছিল আমদানীকারকরা। এ গাড়ীগুলো জাহাজ থেকে খালাস করে বনদরের সেডে রাকার জন্য ৮৪ জন ড্রাইভার (গাড়ী চালক) নিয়োগ দেয় খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডার্স লিঃ নামের প্রতিষ্ঠান। গাড়ীগুলো নামানোর সময় বুধবার রাতে এসকল নামী-দামী গাড়ী থেকে কতোগুলো মেমোরী কার্ড ও বেশ কিছু মুল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করে পাচার করছে এম গোপন সংবাদ পায় বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। এসময় গাড়ী চালকদের তল্লাশী করে মৃত মাহবুব শেখ’র ছেলে আছাদুল শেখ ও আবুল বসারের ছেলে আকাশ মোহাম্মাদ নামের দুই জনের কাছ থেকে এসকল মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ দুজনের বাড়ি বাগেরহাট জেলার নোয়াপাড়ার ফকিরহাট এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন মোংলা বন্দর জেটি থেকে গাড়ী খালাস করতো এবং বন্দর সেড থেকে গাড়গী নিয়ে আদানীকারকেদের মো-রুমে পৌছে দিতো এসকল চালকরা। পরে তাদের আটক করে বুধবার রাতে মোংলা থানায় সোপর্দ করা হয়। এব্যাপারে বন্দরের নিরাপত্তা উপ-পরিদর্শক আতাউর রহজমান বকুল বাদি হয়ে মোংলা থানায় মামলা দায়ের শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে তদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ সকল গাড়ী চালকদের কাছে আমদানীকারকরা কোটি কোটি টাকা মুল্যের গাড়ীগুলো বিশ্বাস করে ছেড়ে দেয় যাতে জাহাজ থেকে খালাস ও শো-রুমে পৌচানোর জন্য। কিন্ত চালকরা ভিশ্বাস ভঙ্গ করে মুল্যবান মালামাল চুরি করে এ সম্পদটি নষ্ট করছে। দুজনকে আটক এবং মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে দিয়েছে। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে