প্রকাশ: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ৪:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রেজাউর রহমান রাজা প্রথম বল হাতে নিলেন দশম ওভারে গিয়ে। এর আগে হাসান মাহমুদ নিয়ে রেখেছিলেন দুই উইকেট।
পরের গল্পের পুরোটাই রাজাময়। একে একে তিনি ফেরালেন আট ব্যাটারকে।
৬ ওভার ৩ বল হাত ঘুরিয়ে ২৩ রান দিয়ে ৮ উইকেট নেন রাজা। লিস্ট-এ ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ইয়াসিন আরাফাত মিশুর। ২০১৮ সালে ডিপিএলেই আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ৪০ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেন এই পেসার।
আর ১৪ রান কম দিলে অবশ্য বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলতেন রাজা। লিস্ট এ ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে। ২০১৮/১৯ বিজয় হাজারে ট্রফিতে রাজস্থানের বিপক্ষে ঝাড়খন্ডের হয়ে কেবল ১০ রানে ৮ উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার।
রাজার এমন কীর্তিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ১৯৯ রানের জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করে ২৭০ রানের সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। ওই রান তাড়া করতে নেমে স্রেফ ৭১ রানে অলআউট হয়ে গেছে শেখ জামাল।
১০ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান রাজা। তার বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন রাব্বি। ওই ওভারের শেষ বলে এসে প্রথম বলের মুখোমুখি হন সাকিব। তিনিও ক্যাচ তুলে দেন কোনো রান করার আগেই।
পরের ওভারে এসে আবার দুই উইকেট পান রাজা। প্রথমে বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। ১৪তম ওভার করতে এসে রিপন মণ্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা।
শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটার আবিদুর রহমান, ইয়াসির আলি ও শফিকুল ইসলামকেও সাজঘরের পথ দেখান রাজা।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিম ও জাকির হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ভালো সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। ৯৪ বলে ৭৮ রান আসে মুশফিকের ব্যাটে। শেখ জামালের হয়ে ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান।
ভোরের পাতা/আরএস