প্রকাশ: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ২:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সরকারের তরফ থেকে কুকি চিন সন্ত্রাসী দমনে নিরীহ অধিবাসী যেন হেনস্তার স্বীকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এবং সেভাবেই এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমন করে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। আর চলমান এ অভিযানে ধরাশায়ী কেএনএফ সন্ত্রাসীরা এখন সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে অপপ্রচারে নেমেছে।
মূলত, এই যৌথ অভিযানে কাবু হয়ে পরায় সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে বিতর্কিত করতে সামাজিকমাধ্যমে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের পেজ থেকে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বম জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর কর্তৃক হত্যা ও গুমের অভিযোগ এনে কেএনএফ সন্ত্রাসী সংগঠনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন আইডি পেজ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে- যা সর্বৈব মিথ্যা।
গেল মাসের ২ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথমে বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংক শাখায় হানা দেয় এই কেনএএফ সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের শতাধিক সদস্য অংশ নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টা চালান। টাকা নিতে না পেরে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি লুট করেন তারা। পরে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
আর রুমার হামলার ১৭ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করেন কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এসব ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬ জন কুকি–চিনের সদস্য এবং তাদের সহযোগিদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
বহুদিন ধরে পাহাড়ে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুনের মতো অরাজক ঘটনা ঘটাচ্ছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। শান্তি আলোচনা চলাকালীন সময়ে একেবারে হঠাৎ করে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ করতে চেয়েছিলো এই সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ।
তাই তাদের সমূলে উৎপাটন করে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে এ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। ফলে ব্যাকফুটে থাকা কেএনএফ এখন সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। মনে রাখতে হবে- সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে। বিশেষ করে পার্বত্যঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাই কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে সত্যটা জানার চেষ্টা করলেই এসব অপরাধীরা ব্যর্থ হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে পাহাড়ে।