বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ৬ মামলা বাতিল   সাবেক সচিব নাসির উদ্দীনকে নতুন সিইসি নিয়োগ   ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন ক্রিকেটার মঈন আলী   বিক্ষোভরত অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া   জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান   রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হলো ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট   ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে পিড়িঁতে বসে চুল কাঁটা
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ৯:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মানুষ স্বভাবগত সুন্দরের পূজারী আর এই সৌন্দযের্র অন্যতম উপকরন হচ্ছে চুল ও দাড়ি যা নিয়ে মানুষের ভাবনারও শেষ নেই, ছেলে মানুষের চুল-দাড়িতেই সৌন্দর্য বহন করে এবং ব্যক্তিত্বকে শানিত করে।

তাই সৌন্দর্য বর্ধনে নরসুন্দরদের কদর ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। চুল ও দাঁড়ি কেটে সুন্দর করাই যাদের পেশা তারাই হলেন নরসুন্দর। তারা আমাদের কাছে নাপিত হিসাবেও পরিচিত কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সেই খাটিয়ায় বসে চুল কাঁটা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনও হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জে পিড়িতে বা খাটিয়ায় বসে নরসুন্দরেরা হাঁটুর নিচে মাথা পেতে আবহমান বাংলার মানুষ চুল, দাড়ি কাঁটার রীতি চলে আসলেও সেই আদি পরিচিত দৃশ্য এখন আর সচরাচর চোখে পড়েনা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে।
কালের বিবর্তনে আধুনিক সভ্যতার ছোয়ায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসেছে পরিবর্তন, যার ফলে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক মানের সেলুন, জেন্টস পার্লার, লেগেছে নতুনত্বের ছোয়া।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখনও চোখে পড়ে চীর চেনা এই দৃশ্য। স্বল্প খরচের কথা মাথায় রেখে নি¤œ আয়ের মানুষ তাদের কাছে চুল দাড়ি কাঁটান।

উপজেলার নরসুন্দর দুলাল শীল বলেন, আমি সপ্তাহে ৫ দিন বীরগঞ্জের দৈনিক বাজারে বসি এবং ২ দিন হাটে ভ্রাম্যমান ভাবে কাজ করি। বংশ পরিক্রমায় দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত আছি।

তিনি আরোও জানান, বিগত ১৫-২০ বছর আগে চুল দাড়ি কাঁটা ৪-৫ টাকা ছিল, সে সময় যা আয় হতো তা দিয়েই সংসার ভালো ভাবেই চলতো কিন্তু বর্তমানে চুল কাটতে ২৫-৩০ টাকা, নাড়িঁয়া করতে ৩০ টাকা এবং দাঁড়ি ১৫-২০ টাকায় কমদামে কেটেও গ্রাহক পাওয়া দুস্কর তবে আমার সারাদিনে ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাই।

ভ্রাম্যমান ভাবে চুল কাটাতে আসা শামসুল আলম (বাবুয়া) জানান, আমি এখানেই দীর্ঘদিন ধরে চুল কাটাঁই, বর্তমানে আধুনিক সেলুন থাকলেও দাম অতিরিক্ত তাই এখানে সাশ্রয়ী এবং আমার ভালো লাগে তাই এখানে আসি।

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন জানান, কালের বিবর্তনে পিড়িতে বসে চুল কাটার দৃশ্য হাটে বাজারে তেমন একটা চোখে পড়েনা, তবে একটা সময় ছিল বাবার হাত ধরে পিড়িতে বসে চুল কাটাঁতে যেতাম কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সেলুন গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ মানুষ এই সেলুন গুলোতেই চুল কাটাঁতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

তিনি আরোও বলেন, আমরা হাট-বাজারে পিড়িঁতে বসে চুল কাটার এই দৃশ্য দেখলেও এমন একটা সময় আসবে যেটা নতুন প্রজন্মের কাছে গল্পের মতো মনে হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]