প্রকাশ: রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ৪:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছে নৌ ও বিমান বাহিনী। যোগ দিয়েছে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও। বনরক্ষী ও থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে যাচ্ছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় শনিবার আগুনের সূত্রপাত। রোববার সকাল থেকে সমন্বিতভাবে শুরু হয় নেভানোর কাজ।
সকাল নয়টার দিকে বনরক্ষী, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও।
নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন কাজ করছে। যোগ দিয়েছে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পাইপ সংযোগ দিয়ে পানি তুলছেন।
এদিকে সুন্দরবনে কীভাবে আগুন লাগলো, কত এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে এবং কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ বলেন, রোববার সকালেই খুলনা-বাগেরহাট থেকে ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে।
আগুন অল্প অল্প জ্বলছে এবং শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে না বলে মনে করছেন তিনি।
শনিবার দুপুর নাগাদ আমরবুনিয়া এলাকায় আগুনও ধোঁয়া দেখে বনকর্মীরা ছটে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় গ্রামবাসীও। তবে তাতে আগুন নেভানো যায়নি।
সন্ধ্যায়ই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনরক্ষী ও থানা পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। তবে রাতের কাজ শুরু না করে তারা ফিরে যান।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, নানা প্রতিকূলতায় শনিবার আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।
আগুন ব্যাপক এলাকা ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলেও জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।
সুন্দরবনে প্রায়ই আগুন লাগে।গত ২২ বছরে অন্তত ২৫ বার সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা আগুনে পুড়েছে বলে এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোরের পাতা/আরএস