প্রকাশ: রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বন্ধ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ।
রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কোনো বেঞ্চ বসবেন না। সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আপিল বিভাগের বিচার চলাকালে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীরা শুধু আজ তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ বেলা ১১টা পর্যন্ত বসবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুর বিষয়টি উত্থাপন করে এক্ষেত্রে আদালত বন্ধ রাখার রীতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমরা এরই মধ্যে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আব্দুল জামিল (এ জে) মোহাম্মদ আলী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছিলেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য।
এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। ১৯৭৮ সালে ঢাকা জেলা জজ আদালতে, ১৯৮০ সালে তিনি হাইকোর্টে ও ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
২০১৩-১৪ সেশনে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।