বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চাবি প্রতিবেশীর কাছে বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। আজ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
শুক্রবার (০৩ মে) ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, পঁচাত্তরের পর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে। ’ আপনি কি স্বীকার করে নিলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ঠিক ছিল না?
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো ডামি নির্বাচন। আমরা আর মামুরা নির্বাচন। বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ এ নির্বাচনকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মিথ্যা কথা বলে কোনো না কোনোভাবে কলঙ্কের ভাবমূর্তি লুকাতে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে কোনো কিছুই লুকানো যায় না।
তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে, এখন বসে থাকার কোনো উপায় নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সারাদেশে বিপুল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র ফেরাতে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নেতাকর্মীরা অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিপীড়ন-নির্যাতন করে, খুন করে, গুম করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না।
রিজভী বলেন, বর্তমান এ বৈরী আবহাওয়ার জন্য প্রকৃতি দায়ী নয়। দায়ী হলো আওয়ামী লীগের লুটেরা শ্রেণি। আওয়ামী লীগের অনাচারকারীরা। নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে, বন-জঙ্গল উজার করে লুটেরা শ্রেণি দেশকে মরুভূমি বানাতে চায়। মানুষ আওয়ামী লীগের লুটেরাদের হাত থেকে পরিত্রাণ চায়।
তুরাগ থানার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, শাহ মাইনুল আহসান চৌধুরী পাইন, আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আকতার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী ইউসুফ প্রমুখ।
ভোরের পাতা/আরএস