প্রকাশ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ২:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ যার যার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সময়মতো অ্যাকশনে যাবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
এখনও এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ গুরুত্বসহকারে ঘোষণা দিয়েছিল এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না। তারপরও কেউ কেউ অংশ নিয়েছে। এজন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা দিয়েছে সেটা শেষ হয়ে গেছে। তারপরও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবে। কাজেই এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।
তিনি বলেন, যারা দলের নির্দেশনা মানবে না, বিশৃঙ্খলা করবে, দল সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছে, অনেকেই এমপি হন নাই, অনেকেই মন্ত্রী হন নাই। এখানো কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা নেবে।
কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ এমপি-মন্ত্রীর স্বজন নাকি এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব কিছু তো এখনি বলা যাবে না। সময়মতো আমরা ব্যবস্থা নেব। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পড়তে আমরা কোমর সোজা করে দাঁড়িয়েছি।
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে- সেজন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।