প্রকাশ: রোববার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:১৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কাল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তাকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এ সফরে। প্রায় ডজনখানেক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে যাওয়া এ সফরকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২০০৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল সানি।
সফরসূচি অনুসারে, কাল সোমবার বিকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা এসে পৌঁছাবেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তাঁর কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। সেখানে প্রথমে শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির মধ্যে হবে একান্ত বৈঠক। পরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে হবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। আনুষ্ঠানিক এই বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হবে প্রায় ডজনখানেক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন দুই নেতা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন কাতারের আমির। পরে আমির যাবেন বঙ্গভবনে। সেখানে রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। মধ্যাহ্নভোজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং বিকাল ৩টায় মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করবেন তিনি। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে পার্ক ও সড়কের নামকরণ করা হবে। এরপর নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন আমির। পরে সফর শেষ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন কাতারের আমির।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতার জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বন্দি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, জনশক্তি রপ্তানি, ধর্ম ও উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতা ছাড়াও ফিলিস্তিন-ইসরায়েলসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে। যেখানে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরবে। বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে, যুদ্ধের পক্ষে নয়।