পিরোজপুরে চাঞ্চল্যকর দোকান কর্মচারী সাব্বির (১৫) হত্যাকান্ডে থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী পালন করার পর-পরই নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা সংস্থা। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শহরের টাউন ক্লাব রোডে এ মানববন্ধন করেন সাব্বিরের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় লোকজন।
জানা যায় হত্যার পর পুলিশের আচরণ ছিল বিরুপ। শত চেষ্টা করেও সাব্বিরের আত্মীয়-স্বজন যখন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে পারিনি তখন মানব বন্ধনের ডাক দেয় স্থানীয় লোকজন।
সাব্বিরের আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ পুলিশ হত্যাকারীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে হত্যা মামলা না করে অপ-মৃত্যু মামলা দায়ের করেন পুলিশ নিজেই। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা মানববন্ধনও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেই।
জানা যায় হত্যাকারী সজীবকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় থানায়, পরে মহরম দহরম শেষেই অপ-মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তিন ঘন্টা পরে সজিব কে ছেড়ে দেয় পুলিশ,ঐদিন রাতেই সজীব তার ঘরের সমস্ত মালামাল সহ দোকানের মালামাল পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে পালিয়ে যায়।এর পরই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসেন সাংবাদিকসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ও অন্যান্য প্রশাসনের লোকজন। মানববন্ধনের সেই দিন বিকেলে হত্যাকারী সজীবের দোকান তদন্ত করতে দেখা যায় পি,বি,আই পুলিশের একটি টিমকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে পি,বি,আই পুলিশ ইন্সপেক্টর আহসান কবির ভোরের পাতাকে জানান পি,বি,আই পুলিশ সুপার আবদুর রহমান স্যারের নির্দেশে সাব্বির হত্যার জট খুঁজতেই পি,বি,আই মাঠে এসেছে, পি,বি,আই পুলিশ সুপার বলেন কোন অপরাধী যেন অপরাধ করে পার না পেয়ে যায়, এবং কোন নিরপরাধ লোক যেন পুলিশের ভূলে আসামি হয়ে না যায় সে দিকেও পি,বি,আই মাঠে তৎপর আছে।পি,বি,আই পুলিশ সুপার জনাব আব্দুর রহমান নিজেও কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি সাংবাদিক সহ সকল স্থানীয় লোকজনদের কাছে সত্যতা খুজে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পি,বি,আই পুলিশ সুপার আবদুর রহমান।
তিনি বলেন সাব্বিরের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী পুলিশের দিকে যে সন্দেহের ইঙ্গিত তুলেছে তাতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন, তিনি বলেন পি,বি,আই পুলিশ সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং পুলিশকে সবার কাছে আস্থাভাজন করতেই পি,বি,আই পুলিশ মাঠে নেমেছে এ হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম জানান সুরত হাল করার সময় পুলিশ কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি, তবে পায়ু পথে কিছু মল মুত্র ও পুরুষঙ্গে বির্যের উপস্থিততি দেখতে পায় পুলিশ।অপ-মৃত্যু মামলার ব্যাপারে বলেন হাসপাতালের চিঠি অনুযায়ী অপ-মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।