প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে খোলা তেল প্রতি লিটারে ২ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই দাম মিলগেট পর্যায়ে আজ থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোজ্যতেল মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বন্সপতি ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গে ট্যারিফ কমিশনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকশেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু নতুন এই দাম ঘোষণা করেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৭ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমে ১৪৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পামতেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা।
এর আগে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেন মিলমালিকেরা। গত মঙ্গলবার থেকে নতুন এই দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যসচিব বরাবর চিঠি দেয় কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর প্রেক্ষিতে আজ মিলমালিকদের সঙ্গে ট্যারিফ কমিশনের বৈঠকে নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হলো।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সয়াবিন তেলে ভোক্তা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে গত ১৫ এপ্রিল ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করতে হলো। তিনি বলেন, ভোজ্যতেল মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা একটা যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে পেরেছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছি। যাতে সরবরাহ চেইনে কোন ধরনের বিঘœতা তৈরি না হয়। যে পরিমাণ ভোজ্যতেল সরবরাহ চেইনে আছে, তাতে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত তেলের কোন ঘাটতি দেখা দেবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘সুপার পামতেলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না, এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।' তিনি জানান,কোন ব্যবসায়ী যেন পামতেলকে সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রি করতে না পারে সেব্যাপারে সরকারের কঠোর নজরদারি থাকবে।
ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার প্রেক্ষিতে রোজার আগে গত ১ মার্চ বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়, তখন ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০০ টাকা।