প্রকাশ: বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এনবিসিকে অন্তত চার মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ধারণা পেয়েছেন। যেহেতু তেহরানের হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, সে ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দেখানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে জেরুজালেম।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় সীমিত আকারে প্রতিক্রিয়া দেখাবে জেরুজালেম। খুব সম্ভবত, ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত বাহিনীগুলোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা হতে পারে।
ইসরায়েলের মিত্ররা দেশটিকে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে সিরিয়ার আধা-সামরিক বাহিনী বা লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা আসতে পারে। উভয় সংগঠনই ইরানের কাছ থেকে সরাসরি সমর্থন পেয়ে থাকে।
চার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, এ বিষয়ে সব সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসরায়েল ওয়াশিংটনকে অবহিত রাখবে। তবে কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা বা সামরিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে না।
এদিকে ইতোমধ্যে ইসরায়েল এ অঞ্চলের আরব দেশগুলোকে আশ্বস্ত করেছে, ইরানের হামলায় প্রতিক্রিয়া দেখালেও এতে অন্য কোনো দেশ বিপদে পড়বে না। বেশ কয়েকটি দেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে ইরানের কাছে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।
কান পাবলিক ব্রডকাস্টারের এক প্রতিবেদন মতে, ইসরায়েল জর্ডান, মিসর ও উপসাগরীয় দেশগুলোকে এ বিষয়টি জানিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, পাল্টা হামলা এমনভাবে চালানো হবে যাতে ইরান এসব দেশকে দায় দিতে না পারে।
এর আগে রোববার ইরানের শীর্ষ কমান্ডাররা সতর্ক করেন, তেহরানের হামলার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালালে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা আরও বড় হামলার মুখে পড়তে পারে।
রোববার ইরানের সরকারী গণমাধ্যমে সতর্ক করা হয়, জর্ডান যদি ইসরায়েলকে সহায়তা করে, তাহলে তারাই হবে তেহরানের পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু।