সুষ্ঠুভাবে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন আয়োজনে সবধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গ্রহণযোগ্য ভোটের প্রত্যাশা কমিশনের। এবার প্রতীক বরাদ্দের আগে সীমিত আকারে প্রচারণার সুযোগ থাকায় প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ শুরু থেকেই।
তবে, কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ইসির। যদিও প্রচারণায় প্রার্থীর পক্ষে এমপি-মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে বরাবরের মতোই কৌশলী কমিশন।
এদিকে, প্রথমবারের মতো অনলাইনে বাধ্যতামূলক মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে প্রত্যেক প্রার্থীকে। যার ফলে নির্বাচনী কাজ অনেকটাই সহজ হয়েছে, এমনটা বলছেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, এনআইডি কার্ডের তথ্য ডেটাবেজে সয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হয়ে যাচ্ছে। তাই মনোনয়পত্র যখন বাছাই হবে, তখন প্রস্তাবক-সমর্থক যাচাইবাছাইয়ের প্রয়োজন নেই। বাছাইতে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে। কারণ, অনলাইন প্রক্রিয়ায় আগে থেকেই সয়ংক্রিয়ভাবে কিছু বিষয় যাচাই হয়ে যায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে পেশী শক্তি বা হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসির এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। মৌখিক বা সংবাদ দেখলেও আমরা এ নিয়ে প্রতিবেদন আনতে বলেছি।
কিন্তু জাতীয় হোক বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকে সবসময়ই। প্রচারণায় দেখা যায় মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী নেতাদের। কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসব ক্ষেত্রে শুধু শোকজেই শেষ হয় তাদের কার্যক্রম। কখনও কখনও দু’একটি ঘটনায় মামলা হলেও পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়না।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা সংস্কৃতি হয়ে গেছে। কমিশন থেকে শোকজ করা হয়, আবার দেখা যায় পরের নির্বাচনে তো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। কমিশন কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে, বসে নেই। সবাই যদি আইন ভাঙে, আইনকে শ্রদ্ধা না করে, তাহলে বিষয়গুলো কঠিন। কমিশনের একার পক্ষে সব তো করা কঠিন।
এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিন ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় ২১ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটের লড়াই হবে ২৯ মে। আর চতুর্থ ধাপের নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ভোরের পাতা/আরএস