ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র সদসবৃন্দ গত ১৪ই এপ্রিল রবিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব এবং নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান। বিলেতের বিভিন্ন শহর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিকে রূপ দেন নবীন প্রবীণের এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায়।
নর্থ লন্ডনের দর্জি প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ডক্টর রহমান জিলানী, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনামুল হক, জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ডক্টর সিরাজুল হক চৌধুরী, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কচি কবির, নব-নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারি কাউন্সিলর খালেদ মিল্লাত, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস, ট্রেজারার আব্দুল হাকিম ভূঁইয়া , নব-নির্বাচিত ট্রেজারার অজিত সাহা।
অভিষেক পর্বে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কচি কবির, জেনারেল সেক্রেটারি কাউন্সিলর খালেদ মিল্লাত ও ট্রেজারার অজিত সাহার নেতৃত্বে গঠিত ৪১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হযা। উপস্থিত সদস্যবৃন্দ করতালির মাধ্যমে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেন। উল্লেখ্য এই কমিটি ২০২৪-২০২৫ সালে দায়িত্ব পালন করবে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের ২৪জন সদস্যকে বিশেষ অবদানের জন্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনামুল হক, জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ডক্টর সিরাজুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন রহমান জিলানী, মোহাম্মদ এনামুল হক, ডাঃ এম এ আউয়াল, আনোয়ার খান, কচি কবির,মোহাম্মদ খালেদ মিল্লাত ,অধীর দাস তনু ,আশরাফ জামান,ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস,সলিসিটর সিনথিয়া দাস,মিনারা সুলতানা ,শামীমা বেগম মিতা, তপন সাহা এফসিসিএ,অজিত সাহা এফসিসিএ,আবদুল হাকিম ভুঁইয়া, ড. সিরাজুল হক চৌধুরী,বুলবুল হাসান ,কাউন্সিলর সায়মা আহমেদ, কাউন্সিলর সুমন রয়,সারওয়ার-ই আলম, আলাউদ্দিন সোহেল, মোঃ ওমর ফারুক ও সৈয়দ ফাহিম আহমেদ।
তিনপর্বের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনা করেন শামীম আরা মিতা, বুলবুল হাসান ও সায়মা আহমেদ। বর্ষবরণ পর্বে নববর্ষের গান পরিবেশন করে আনন্দধারা আর্টসের শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠানটিকে আনন্দমুখর করে তোলেন মাহবুবুর রহমান সবুজ, শম্পা কুন্ডু , অমিত দে, সাদমান, রুমি, জয় ও মৃদুল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে সংগীতের তালে তালে নবীনদের সঙ্গে প্রবীণ সদস্যরাও নেচে-গেয়ে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠেন। অনুষ্ঠানে চিলড্রেন ক্যান্সার হাসপাতাল ইউ কে এবং বাংলাদেশের দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করা হয়। শেষে সুস্বাদু নৈশভোজ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।