প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সাজেক পর্যটন এলাকায় পাহাড় কেটে রিসোর্টের সুইমিংপুল নির্মাণ বন্ধের আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, অননুমোদিত পাহাড় কাটায় জড়িতদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাজেকে পাহাড়ের মাটি কাটা সম্পর্কে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে জনস্বার্থে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’-এর পক্ষে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এইচআরপিবির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণের কাজ করছে ‘মেঘপল্লী রিসোর্ট’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে সুইমিংপুল নির্মাণকাজ বন্ধসহ সাজেক ও আশপাশ এলাকায় অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া, অননুমোদিত পাহাড় কাটায় যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ারও আদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৮ মার্চ ‘সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল’ শিরোনামে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উপরে পাহাড় কেটে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘপল্লী রিসোর্ট নির্মাণ করছে সুইমিংপুল। প্রকাশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, পাহাড় ধসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার রুইলুই, হামারি ও কংলাক; এই তিনটি পাড়া নিয়ে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। নয়নাভিরাম প্রকৃতির সবুজে ঘেরা ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় ও মেঘের অপূর্ব মিলনের জন্যই সাজেককে বলা হয়ে থাকে মেঘের রাজ্য।
ভোরের পাতা/আরএস