রমনা কালিমন্দির ও আশপাশের এলাকার অসহায় দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার রমনা কালিমন্দিরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, "এই মন্দিরকেও অসম্প্রদায়িক চেতনার একটি কেন্দ্র। এই মন্দিরটি টার্গেট ছিলো, অপারেশন সার্চ লাইটের মধ্য দিয়ে প্রায় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। যাদের আমরা হারিয়েছি তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা এখানে আছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি ১৯৭১ সালে আমাদের বিকশিত সন্তানদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে, বিবেকবানদের নির্মুল করেছে।
"বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই বিবেকহীন, হত্যাকারিদের নির্মুল করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই রমনা কালিমন্দিরের হত্যাকান্ডর সঙ্গে যারা জড়িত ছিলো তাদের এবং তাদের দালালদের খুঁজে বের করতে হবে। অপকর্মের ইতিহাস মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে।"
নাছিম বলেন, "মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের তালিকা ধরে তাদের সন্তান, যারা এখন বিভিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তির দালালি করছে, আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করছে, সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়িয়ে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাচ্ছে, তাদের থেকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে আমরা সকলে কাজ করে যাবো এই হোক আজকের অঙ্গিকার।"
আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, "পবিত্র রমজান মাসে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। ১৯৭১ সালে মন্দিরে হামলাহয়, এখানে এখনও শহিদ পরিবারের অনেকে আছেন।
"এছাড়া এই এলাকার গরিব দুখি মানুষের জন্য আমরা ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান কমিটি উপহার সামগ্রি বিতরণ করে আসছি। একমাত্র আওয়ামী লীগ ধর্মবর্ন নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।"
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দিলীপ রায়, রমনা কালিমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বক্তব্য রাখেন।
ভোরের পাতা/আরএস