প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১:১০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সিলেটে ঈদকে টার্গেট করে বেড়েছে ছিনতাই। বিশেষ করে সিলেট নগরীর বড় বড় বিপানী বিতান গুলোর সামনে বেশির ভাগ ছিনতাই শিকার হচ্ছেন শপিংকে আসা ক্রেতারা। এর মধ্যে বেশির ভাগ খুয়া যাচ্ছে স্মার্ট ফোন, মানিব্যাগ ও ভ্যানিটি ব্যাগ (পার্স) ছিনতাইকারী চক্রের হাতে। এ চক্রের প্রধান টার্গেট বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিদ্যুৎ চলে যাবার সাথে সাথে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ক্রেতা ও পথচারীদের উপর হামলে পড়ে বলে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।
আম্বরখানা-টুকেরবাজার রুটের সিএনজি অটোরিক্সা চালক হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এ প্রতিবেদককে জানান, মূলত চক্রের সদস্যরা জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় ছিনতাই করে। রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় চক্রের সদস্যরা পাড়া মহল্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
এ চালক জানান, চক্রের সদস্যরা বিদ্যূৎ চলে যাবার পর ‘ফন্দি’ হিসেবে সিএনজি অটোরিক্সার সামনের বা পিছনের সিটে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল রেখে দেয়। এটা সিএনজি অটোরিক্সা থামানোর কৌশল তাদের। সিএনজি থামিয়ে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ‘অন্ধকারে’র মধ্যে তাদের স্মার্ট ফোন, মানি ব্যাগ কিংবা পার্স ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের ভয়ে অনেক সিএনজি অটোরিক্সা চালক আতংকিত-জানিয়ে তিনি বলেন, এ অবস্থায় অনেক চালক অনেক রুটে যেতে অনাগ্রহী। ক্ষেত্র বিশেষে ছিনতাইকারীরা চালকদের মারধর করে বলে জানান তিনি।
ওই চালক আরো জানান, জিন্দাবাজার ও কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ছিনতাই হয় ইফতারের কিছু পূর্বে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ইফতারের সামান্য আগে এ রকম একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানান তিনি। ছিনতাইকারীদের নেতৃত্বে কিছু উঠতি বয়সী তরুণ রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরেক ভুক্তভোগী জানান, সিলেট নগরীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘কিশোর গ্যাং’ চক্র। এরা নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দল বেঁধে আড্ডা দেয়। সুযোগ বুঝে তারা নেমে পড়ে ছিনতাইসহ অপরাধে। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির কারণে এ চক্রের অপরাধমূলক কর্মকান্ড মাঝখানে কিছু দিন স্থবির থাকলেও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততার সুযোগে তারা তৎপর হয়ে উঠেছে।
দু‘দিন পূর্বে এ প্রতিবেদন নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় দিনে-দুপুরে এক ছিনতাইকারীকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। ভুক্তভোগীরা ওই ছিনতাইকারীকে তাড়া করলেও তাকে ধরতে ব্যর্থ হন।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এস আই ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নগরীতে লোডশেডিংয়ের মধ্যে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের বিষয়টি তার জানা নেই। এ প্রতিবেদকের কাছ থেকে জানার পর তিনি বিষয়টি মোবাইল পার্টিকে অবহিত করবেন বলে জানান।