প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪৫ পিএম আপডেট: ২৬.০৩.২০২৪ ৮:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যেকোনো ইবাদতের জন্য কুরআন-সুন্নাহর বিধান রয়েছে; সে বিধান অনুযায়ী যদি ইবাদত করা যায় তাহলে আল্লাহর কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে এবং সওয়াব পাওয়া যাবে। ইফতারের সুন্নত নিয়ম হলো সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করা।
সাহল রা: হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যত দিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে তত দিন পর্যন্ত কল্যাণ লাভ করতে সম হবে। (বুখারি, মুসলিম)।
এখানে তাড়াতাড়ি বলতে সূর্যাস্তের পরপরই বোঝানো হয়েছে। অন্য হাদিসে আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত আছে, রাসূল সা: বলেছেন, দ্বীন বিজয়ী থাকবে যত দিন পর্যন্ত মানুষ ইফতার তাড়াতাড়ি করবে। কারণ ইহুদি-নাসারারা ইফতার বিলম্বে করে। (আবু দাউদ, ইবনে মাজা)।
আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমার সে বান্দা আমার কাছে বেশি প্রিয় যে ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করে। অর্থাৎ সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ইফতার করে। (তিরমিজি)।
আবু আতিয়া হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও মাসরুক একদিন আয়েশা রা:-এর কাছে গেলাম এবং বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন! রাসূলুল্লাহ সা:-এর দু’জন সাহাবি রয়েছেন, তাদের একজন তাড়াতাড়ি ইফতার করেন, তাড়াতাড়ি সালাত আদায় করেন। আর একজন দেরিতে ইফতার করেন, দেরিতে সালাত আদায় করেন। আয়েশা রা: জিজ্ঞেস করলেন কে তাড়াতাড়ি ইফতার করেন এবং তাড়াতাড়ি সালাত আদায় করেন? আমরা বললাম, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা:। আয়েশা রা: বললেন, রাসূলুল্লাহ সা: তা-ই করতেন।
আর অপর ব্যক্তি যিনি ইফতার ও সালাত আদায়ে বিলম্ব করতেন, তিনি হলেন আবু মূসা রা:।
মুসলিম.
উপরিউক্ত হাদিসগুলো দ্বারা প্রমাণিত হলো যে ইফতার সূর্য ডোবার পর পরই করা উত্তম। তবে কোনো কারণে যদি বিলম্ব হয়ে যায়, তাহলেও ইফতার করে নেবে।
ইফতার খেজুর দিয়ে করা উত্তম। যদি খেজুর না পাওয়া যায় তাহলে শুধু পানি দিয়ে ইফতার করা উত্তম।