প্রকাশ: সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪, ৭:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের শুরুতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে তারা। খসড়া অনুযায়ী, এখন থেকে আর আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরীক্ষাকে এখন ‘মূল্যায়ন’ বলা হবে। প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার লিখিত ও ব্যবহারিক ‘মূল্যায়ন’ নেওয়া হবে। আর শ্রেণিভিত্তিক এ ‘মূল্যায়ন’ হবে বছরে দুটি।
রোববার (২৪ মার্চ) শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ খসড়া চূড়ান্ত হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, রোববার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিডটার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে।
চলতি বছরের জুন মাস থেকে এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। ‘রিপোর্ট ভালো’, ‘অর্জনের পথে’ এবং ‘প্রাথমিক পর্যায়’ এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা না থাকায় অভিভাবক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে দাবি করে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে নামেন অভিভাবকরা। এরই প্রেক্ষিতে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে নতুন এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
ভোরের পাতা/আরএস