অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সংসদীয় কূটনীতি দিয়ে দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক স্তরে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত।
তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগাতে হবে।
রোববার সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে 'পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং' শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আর সংসদীয় কূটনীতি এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
শিরীন শারমিন বলেন, সংসদ গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু এবং জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আইপিইউ, সিপিএ, পিইউআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সাথে জড়িত এবং সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সংসদীয় কূটনীতি প্রচার করে।
‘জনপ্রতিনিধি হিসাবে সংসদ সদস্যরা এমন একটি বিশ্ব তৈরি করার অনন্য ক্ষমতা পান যেখানে প্রতিটি নাগরিকের আশা আকাঙ্ক্ষা অর্জনের সমান সুযোগ থাকে এবং কেউ পিছিয়ে থাকে না,’ যোগ করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য সারা বিশ্বের সংসদ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য কাজ করে চলেছে, যেখানে সবার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সমান হবে।
প্রত্যেকের জন্য মানবিক মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে সংসদগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন স্পিকার।
জেনেভার সম্মেলনে বাংলাদেশে সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচএম বদিউজ্জামান, মো: মুজিবুল হক প্রমুখ।
ভোরের পাতা/আরএস