প্রকাশ: শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪, ৪:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকেই উত্তাল পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ছয় দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
দাবিগুলো হলো: অবন্তিকার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে; অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে; অভিযুক্ত দুইজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে; ভিক্টিম ব্লেমিং যারা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, অবন্তিকার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাদী হয়ে মামলা করতে হবে এবং নারী নিপীড়ন সেলকে আরও সক্রিয় করতে হবে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে (আম্মান সিদ্দিকী) দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য এসে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যাকে হত্যা দাবি করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তার মা ও স্বজনরা। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার।
পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম মিলে অবন্তিকাকে অনলাইন ও সরাসরি হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। একে হত্যা দাবি করে জড়িতদের বিচার দাবি তাদের।
ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মরহুম জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
ভোরের পাতা/আরএস