প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪, ৫:০৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সোমালিয়ায় জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে দস্যুরা। আজ বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে, অর্থাৎ দস্যুদের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছানোর পর এ সুযোগ করে দেয় তারা।
জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য দিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি করার পর দস্যুরা একটি কেবিনে সব নাবিককে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়ার পর নিজ নিজ কেবিনে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় তারা।
জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খানের বরাত দিয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজের সব নাবিক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। দস্যুরা কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি। নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়ার পর এখন হয়তো আলোচনার পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্যানুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাজটি উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে।
লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) থেকে তথ্য নিয়ে আজ রাত পৌনে আটটার দিকে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থানের তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, জাহাজটি স্থলভাগ থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে উপকূলে এনে আবার নোঙর করা হয়েছে। দস্যুরা এখন পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করেনি।