প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪, ১:১২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সোমবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা করা হয়।
সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভার উইমেন ইন হেপাটোলজি ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান। লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. নাতাশা তারানুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, নারী নেত্রী মাহফুজা খানম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাইদা হোসেন পাপড়ি এবং শহীদ সন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভারের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভার উইমেন ইন হেপাটোলজি ফোরামের সাধারন সম্পাদক ডা. রোকসানা বেগম।
প্রধান অতিথি সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি তার আবেগঘন বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ এবং ৭৫ এর মর্মস্পশী ঘটনাবলী তুলে ধরেন। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধে ও তার পরে যেসব পরিবারে মারা সংগ্রাম করে তাদের সন্তানদের বড় করেছেন সেই সব মহিয়সী মারা সকলেই একেকজন সাহসী যোদ্ধা। প্রফেসর ডা. সেলিমুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'বন্দটেকীর মেয়ে'- এর মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে নারীদের সফলতার চিত্র তুলে ধরেন।
বিশিষ্ট নারী নেত্রী মাহফুজা খানম নারী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি তার বলিষ্ঠ বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়নে অর্থ বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির বলেন, আমরা নারী দিবসে অংগীকার বন্ধ হই, যে আমরা আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি বলবো না, বরং তারাও আসলে মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মা বোন শ্রম, সেবা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে। বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সাইদা হোসেন পাপড়ি তার বক্তব্যে সংগীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য তার সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন হাল ছেড়ে না দিলে নারীরা পারে সকল প্রতিকুলতা অতিক্রম করতে।
প্রফেসর মামুন আল মাহতাব হেপাটোলজি বিষয়ে বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার নারী লিভার বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন। ডা. রোকসানা বেগম বক্তব্যে নারী পুরুষকে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দী না হয়ে পরিপুরক হিসাবে কাজ কার আহবান জানান। অনুষ্ঠানটি আইপি টিভি রাজ টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে।