প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪, ৪:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর প্রথমবারের মত মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীর সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির সফর ঘিরে পুরো কাশ্মীর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুটি আলাদা অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করে মোদি সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর ছিল মুসলমান অধ্যুষিত ভারতের একমাত্র রাজ্য।
বিবিসি জানায়, মোদি বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি নির্বাচনি জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি ওই সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো করবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের ভারত ভাগের সময় কাশ্মীরের একাংশ পড়ে পাকিস্তানে এবং একাংশ পায় ভারত। পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দুই প্রতিবেশীই সম্পূর্ণ কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে দুবার পূর্ণ যুদ্ধ করেছে।
এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১৯৮০ এর দশকে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের পর সেখানে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর সেখানে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তাদের দাবি, এতে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটছে। তবে মোদীর অনেক সমর্থক এ ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলেছেন।
ভোরের পাতা/আরএস