বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন   ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭   কম দামে বেচতে ৫১৯ কোটি টাকার তেল-ডাল-চিনি কিনছে সরকার   চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতীয় কংগ্রেসের বিবৃতি   তেজগাঁও-গুলশানের এডিসিসহ ৫ কর্মকর্তাকে বদলি   আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম   ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
নিজের ডায়েরিতে যা লিখে গেছেন অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ৩ মার্চ, ২০২৪, ৯:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

কুষ্টিয়ার বৃষ্টি খাতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এবং তার চাকরি ক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতিকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার মা-বাবা বেনারসে থাকতেন। তারা মারা যাওয়ায় দাদুর হাত ধরে ঘটনাচক্রে তিনি কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন ছোটবেলায়। অভিশ্রুতির দাদু মারা গেলে একটি পরিবার তাকে দত্তক নিয়েছিল। তবে বৃষ্টির মা বিউটি বেগম তার মেয়ে বৃষ্টি ৭ম শ্রেণিতে পড়াকালে তার নিজহাতে ডায়েরিতে লেখা জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ রয়েছে সেটি বের করে দেখান। শনিবার বৃষ্টির মা বিউটি বেগম বলেন, বৃষ্টিকে আমি গর্ভে ধারণ করেছি। বৃষ্টি, ঝর্ণা ও বর্ষা তিনজনই আমার সন্তান।

বৃষ্টি বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করেন। পরে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, প্রবেশপত্র সব বের করে সামনে দিলে দেখা যায়, প্রতিটিতে বৃষ্টি খাতুন, পিতা সবুজ শেখ ও মাতা বিউটি বেগম লেখা আছে। বৃষ্টি খাতুনের ৭ম শ্রেণিতে পড়াকালে তার নিজহাতে ডায়েরিতে লেখা জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ রয়েছে সেটি বের করে দেখান তার মা। 

তার মা জানান, মোবাইলে বৃষ্টির সঙ্গে তার শেষ কথা হয় (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে। বৃষ্টি জানায় মিটিং শেষ করেছে এবং তার আরও কিছু কাজ বাকি আছে, বাসায় ফিরে কথা বলবে। এর পর তার ফোন আর আসেনি। পরের দিন তার ননদের ছেলে রেজোয়ান মোবাইল ফোনে বৃষ্টির খোঁজ নিতে বলে এবং তিনি খোঁজ নিয়ে বৃষ্টির মৃত্যুর খবর পান। বৃষ্টির খালাতো বোন জানান, বৃষ্টিকে ফোন দিলে জানায় আপু আমি ব্যস্ত আছি। চার মাস আগে বৃষ্টির সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক চালানো বা ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে চার মাস আগে বৃষ্টি বাড়িতে আসলে নামাজ পড়াসহ সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। 

বৃষ্টির বান্ধবী শারমিন আক্তার জানান, তিনি বৃষ্টির সঙ্গে ১০ বছর পড়ালেখা করেছেন। ইতিপূর্বে নামাজ-রোজা উভয়ই একসঙ্গে করেছেন। বৃষ্টির ধর্ম পরিবর্তনের কোনো কিছু তিনি জানেন না।
গ্রামের ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকা মিনা পারভিন জানান, বৃষ্টির মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে কোনো কাজ করতে পারছেন না। 

তিনি বলেন, বৃষ্টি খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল। ছোটবেলা থেকেই মেয়েটি নামাজী ছিল। অনেকটা শান্ত স্বভাবের মেয়ে। বৃষ্টি মুসলিম থেকে হিন্দু হয়েছে, এমন খবরকে তিনি গুজব বলেন।

বৃষ্টির বাড়ির সামনে পুলিশের চৌকি বসানো হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বৃষ্টির লাশ আসলে পরিবার সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো। 

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, বৃষ্টির মৃত্যু নিয়ে সাম্প্রদায়িক ঝামেলা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ,বৃষ্টি এখানে জন্ম নিয়েছে। পরিবারসহ এলাকার লোকজন তার লাশের জন্য অপেক্ষা করছে। মরদেহ আসলে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]