প্রকাশ: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী ও মোংরা-রামপাল বাগেরহাট-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এই প্রথম রামপালে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এটিকে ধরে রাখতে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমি চাচ্ছি মোংলা-রাপালে সকলের হাতে মোবাইল না রেখে একটি করে বই রাখবে, তাতে অনেক কিছু শেখার আছে। শিক্ষার আলো ছড়িে দিতে সকলের সহায়তার প্রয়োজন। তাই মোবাইল ও মাদকের হাতে থেকে আগামী দিনের ভবিষৎ যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে বইয়ের কোন বিকল্প নাই। রামপালের সরকারী কালেজ মাঠে দুই দিনব্যাপি বই মেলার উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রামপাল সরকারি কলেজ চত্বরে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এই প্রথম মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী অমর একুশে বই মেলা শুরু হয়েছে রামপাল উপজেলা প্রশাসন ও সরকারী কলেজের যৌথ আয়োজনে। এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেণ সাবেক জেলা জজ শেখ জালাল উদ্দিন ও মোংলা-রামপাল বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার এমপি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। বিশেষ অতিথির হিসেবে সাবেক জেলা জজ শেখ জালাল উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নূরুল হক লিপন, রামপাল সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সমীর কুমার, রামপাল থানার ওসি তদন্ত বিধান চন্দ্র বিশ্বাসসহ আরো অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বই মেলার প্রথম দিনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থদের অংশ গ্রহনে অনুষ্টিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। এতে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হেেয়ছে কুইজ প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি সহ বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠান। এবার বই মেলায় বিভিন্ন ধরনের বইয়ের স্টল সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা, সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন সমাজ সচেতনা মূলক স্টল। আর এ বই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন সাবেক উপমন্ত্রী সংসদ সদস্য বেহম হাবিবুন নাহার সহ উপজেলা প্রশাসনের অতিথি বৃন্দরা। শুরু হওয়া এ বই মেলা ২২ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাবেক জেলা জজ শেখ জালাল উদ্দিন বলেন, আমার চাকরী জীবনে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছি। আমার লক্ষ এবং উদ্দোশ্যে হলো মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া। কর্ম জীবনে আমার জন্মস্থান রামপালের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারিনী কিন্ত শেষ জীবনে হলেও এ অঞ্চল সহ সকলের তাতে মোবাইল ও মাদকের পরিবর্তে বই যদি তুলে দিতে পারি সেইটাই হবে আমার জীবনের স্বার্থকতা। তাই এই প্রথম বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলা এখন থেকে প্রতি বছরই চলবে বলেও জানান তিনি।