প্রকাশ: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:২৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ এম. এ শহীদুর রহমান। তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় দক্ষতা, বিচক্ষণতা এবং ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই বিশিষ্ট আইনজ্ঞের আজ ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী জারিফা রহমান, এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রেখে যান।
এম. এ শহীদুর রহমান শুধু বিচারিক ক্ষেত্রেই অবদান রাখেননি, তিনি নিজ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু মসজিদ-মাদরাসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। বিশেষ করে তার নিজ এলাকায় ‘কোরআনে হাফিজিয়া ইসলামিক শিক্ষা’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন, যা ওই এলাকায় ইসলামী শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। বিচার বিভাগের উজ্জ্বল এ নক্ষত্রের জন্ম ১৯৪৭ সালের ৫ জানুয়ারি নড়াইল জেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। শিক্ষাজীবনে এম.এ শহীদুর রহমান দারিয়া বিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। সফলতার সঙ্গে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭৮ সালে তিনি একজন বিচারক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্টার পদে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার কার্যক্ষেত্রের মধ্যে আরও রয়েছে ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজের দায়িত্ব পালন। দ্য কোর্ট অব সেটেলমেন্টের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন এম.এ শহীদুর রহমান।
বিশিষ্ট এ আইনজ্ঞ এম. এ শহীদুর রহমান দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ভোরের পাতা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারপারসন ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি’র শ্বশুর। ড. কাজী এরতেজা হাসান শ্বশুরের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। এই বিশিষ্টজনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার নিজ এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া কাকরাইল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।