প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রসচিবকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা চলাকালে ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এডমিটের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মিল না থাকায় তাদের আটক করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপাহার সরফতুল্লাহ কেন্দ্রে এ বছর ৪০টি প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থী ৭৭৭ জন। মঙ্গলবার সেখানকার ২০টি কক্ষে ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী আরবি-২য় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সকালে আকস্মিক ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ইউএনও। এরপর এডমিটের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মিল না থাকায় ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রসচিবকে আটক করেন। যেখানে ১৫ জন ছাত্র এবং ৪৪ জন ছাত্রী রয়েছে। বাকি পরীক্ষার্থীদের এখনও যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন বলেন, এডমিটের সঙ্গে মিল না থাকায় এখন পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া দাখিল পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করে আটক করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রে যে সকল মাদরাসার পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছে, সেসব মাদরাসার সুপারকে তলব করা হয়েছে। তারা এসে এসব শিক্ষার্থীদের পুনরায় শনাক্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টায় দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্রসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।
ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে।
এই অনিয়মের সঙ্গে কেন্দ্রসচিব, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
ভোরের পাতা/আরএস