প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:৩৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে আমি মামলা করবো, প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে বিদেশে চলে যাবো, মুঠোফোনে মন্তব্য চাইলে বুধবার রাতে এই প্রতিবেদককে অনেকটা নিজের ক্ষমতা জাহির করে এ কথা বলেন - গণপূর্ত অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী মো.ফয়জুল কবির (শিহাব)।
অনুসন্ধান বলছে, রাজধানীতে গণপূর্তের তৃতীয় শ্রেণি পদমর্যাদার এই কর্মচারীর একটি দু'টি নয় চার চারটি ফ্লাটের অস্তিত্ব মিলছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সওস) ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) শিহাব অলৌকিক এই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।অনুসন্ধান আরো বলছে, আলাদীনের চেরাগ পেয়েছেন তিনি। চাকরিতে যোগদানের পরপরই চেরাগ ঘষামাজা করে কোটিপতি বনে গেছেন।যে এলাকায় এই সম্পত্তি গড়েছেন সেটি খিলগাঁও অবস্থিত। সরেজমিনে গিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বলের সাথে আলাপকালে জানা যায়,সাড়ে তিন শতাংশ জমির উপর গড়ে উঠা ছয়তলা ভবনের তিনটি ফ্লোরের চারটি ফ্লাটের মালিক শিহাব সাহেব। ফ্ল্যাট গুলো যথাক্রমে ছয়, পাঁচ এবং চতুর্থ তলায়।এরমধ্যে ৬ তলায় দুটি এবং পঞ্চম ও চতুর্থ তলায় একটি করে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া আছে অন্য ব্যক্তিদের। এবং শিহাব নিজেও এই বিল্ডিং এ ভাড়ায় থাকেন।সূত্র বলছে, সম্প্রতি গণপূর্তের তৃতীয় শ্রেণীর কয়েকজন কর্মচারী মিলে ছয় তলা ভবনটির কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। মো.ফয়জুল কবির (শিহাব) এর বাবা একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থার চোখ ফাঁকি দিতে সব কিছুর মালিকানায় বাবা-মায়ের নাম দিয়ে রেখেছেন তিনি।শিহাবের ভাই আমিনুলও উক্ত ভবনে বসবাস করেন এবং তিনিও গণপূর্তের কর্মচারী।
এদিকে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর ব্যক্তিগত সহকারী মো.ফয়জুল কবির (শিহাব) নিজেও দাবি করেন, এই সম্পত্তির মালিকানার কোথাও তার নাম নেই। তিনি আরও জানান, গড়ে উঠা ভবনের জমি ২০১০ সালে ১৮ লক্ষ টাকায় ক্রয় করা হয়েছিল। এবং প্রতিটি ফ্লাটের নির্মাণ ব্যয় বিশ লক্ষ টাকার কিছু বেশি।ঐ সময় জমির কোন রাস্তা ছিল না। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সহকর্মীরা চক্রান্ত করছে। স্থানীয় আবাসন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই জমির মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। আর আয়তন অনুযায়ী প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্য কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ।