প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কঁচিখালী স্টেশনের বনরক্ষীরা নিয়মিত টহলকালে কঁচিখালী অভায়ারণ্য এলাকার খাল থেকে একটি মৃত বাঘ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে খাল থেকে বাঘটি উদ্ধার করে বনরক্ষীরা। ঘটনার পর ২ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল জন্য শরণখোলা রেঞ্জের ডুমুরিয়া পেট্রল ফাঁড়ি এলাকায় পোষ্টমডেম রিপোর্ট সম্পন্ন করেছে।
বনবিভাগের খুলনা অ লের বন সংরক্ষক(সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, বনবিভাগের কঁচিখালী স্টেশনের বনরক্ষীরা নিয়মিত অভিযানকালে ও টহলরত অবস্থায় অভয়ারণ্যের ভিতরে খালে একটি মৃত বাঘ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তারা বাঘটি উদ্ধার করে কঁচিখালী স্টেশনে নিয়ে আসে। কিন্তু বাঘটি কি কারনে মৃত্যু বরণ করেছে তার সঠিক কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। পরের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারী সকালে শরণখোলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোসাহেব হোসেন ও মোড়েলগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইউনুস আলীর নেতৃত্বে একটি দল ওই বাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে। এ বিষয়ে তারা জানায় আনুমানিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বাঘটি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাঘটির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, ওজন ২৫৫ কেজি এবং বয়স ১৪ বছর প্রায়। তার ধারনা বার্ধক্য জনিত কারনে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তবে পোষ্টমডেম রিপোর্টের যে আলামত বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে তার ফরেন্সি রিপোর্টে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে শরণখোলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোসাহেব হোসেন বলেন, পোষ্টমডেম রিপোর্টের আলামত বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মৃত বাঘটিকে সংরক্ষণের জন্য চাদপাই রেঞ্জের মোংলার করমজল এলাকার পার্কে সংরক্ষণের জন্য নেয়া হয়েছে। তার আনুমানিক ধারনা বার্ধক্য জনিত কারনে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে।
সুন্দরবন সংলগ্ন সাউথখালী এলাকার বাসিন্দা ও তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক আঃ মালেক রেজা বলেন, বিভিন্ন সময় সুন্দরবন থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার করা হলেও তা পোষ্টমডেমের ফরেন্সি রিপোর্টের সঠিক তথ্য কখনওই জনগন জানতে পারেনি। এখানে একটি রহস্য সব সময়ই থেকে যায়।
এ ব্যাপারে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহবুব হাসান এর সাথে যোগাযোগ করলে তার মোইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।