প্রকাশ: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৪০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রঙ্গিন বাঁধাকপি প্রথমবারের মতো চাষ করে ১৭ হাজার খরচায় ৫০ হাজার টাকা রাভের আশা করছেন উপজেলার মিলন রানা নামে এক প্রান্তীক কৃষক।কৃষক মিলন রানা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরমার্শ ও সহায়তায় ২০ শতক জমিতে এ কপি চাষ করেছি।কৃষি অফিসের সরবরাহকৃত দুই প্যাকেট বীজে প্রায় ৭৫০টি চারা রোপন করেছি। জৈব বালাই নাশক, কেঁচো সার, ফেরোফিন ফাঁদ ও জৈব স্ফ্রের মাধ্যমে সম্পূণ অর্গানিক পদ্ধতিতে এই রঙ্গিন কপি চাষ করা হয়েছে। এই বাঁধাকপিগুলো ৫৮-৬০দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠেছে। এ কপি দেখতে যেমন সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়। তিনি কাঁটতে শুরু করে বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
দিনাজপুর অ লে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে’ উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে প্রথম বারের মতো খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিলন রানা ২০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে রঙ্গিন জাতের বাঁধাকপি রুবি-কিং চাষ করে। প্রথম বারের চাষেই ব্যাপক সাফল্য আসায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ‘দিনাজপুর অ লে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে’ প্রথম বারের মতো এ বছর এ উপজেলায় পরীক্ষা মূলক একজন কৃষকের ২০ শতাংশ জমিতে রঙ্গিন জাতের বাঁধাকপি রুবি-কিং চাষ করা হয়েছে। এ কপিতে সাফল্য আসায় আগামীতে এ জাতের কপির চাষ বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন এ বাঁধা কপি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ। এটিতে রঙ্গিন ও সবুজ শাক-সবজির তুলনায় ভিটামিন ও আয়রন বেশি থাকে। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন এ কপিতে চর্বি নেই, পাশাপাশি আলসার ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। ফলে এটি খাওয়া মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার কৃষকের কপি ক্ষেত পরিদর্শন করে ও ফলন ভাল হয়েছে বলে জানায়।