প্রকাশ: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রসঙ্গ নজরুল-সঙ্গীত (প্রনস) আয়োজিত নজরুল বিরচিত বসন্তের গান এবং একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা শিল্পী ডালিয়া নওশিনের সংবর্বধনা মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন শিল্পী পারভীন সুলতানা, মাহমুদুল হাসান, গোলজার হোসেন উজ্জ্বল এবং নাদিয়া আরেফিন শাওন।
মুক্তিযোদ্ধা ডালিয়া নওশিন একজন দেশবরেণ্য নজরুল-সঙ্গীত শিল্পী। অনুষ্ঠানে শিল্পী করিম হাসান খান দর্শকদের সামনে ডালিয়া নওশিনের সঙ্গীতজীবন নিয়ে কথা বলেন এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। বরেণ্য শিল্পীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান মনোজ সেনগুপ্ত।
'বসন্ত আবাহন' শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠানের প্রথম শিল্পী ছিলেন নাদিয়া আরেফিন শাওন। পরিবেশন করেন সেদিন যদি পড়ে আমার মনে, আবার ভালোবাসার সাধ জাগে, হায় আঙ্গিনায় সখি এবং ঝরা ফুল দ'লে কে অতিথি। তিনি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরের শিল্পী ড. গোলজার হোসেন উজ্জ্বল পরিবেশন করেন আসলো যখন ফুলের ফাগুন, ফাগুন রাতে ফুলের নেশায়, আজি মনে মনে লাগে হরি এবং নব কিশলয় রাঙা শয্যা পাতিয়া।
গোলজারের পরিবেশনার পর নজরুলের কবিতা পাঠ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনোজ সেনগুপ্ত। কবিতা পাঠের পর প্রনস গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী পারভীন সুলতানা পরিবেশন করেন ফুল ফাগুনের এলো মরশুম, ব্রজগোপী খেলে হোরী, চৈতালী চাঁদিনী রাতে এবং কেন মনবনে মালতী বল্লরী দোলে।
নির্ধারিত শিল্পীদের মধ্যে সর্বশেষ শিল্পী ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান। তিনি পরিবেশন করেন পলাশ ফুলের গেলাস ভরি, আসে বসন্ত ফুলবনে, পিয়া গেছে কবে পরদেশ এবং ওগো চৈতি রাতের চাঁদ।
এরপর মঞ্চে আসেন সংবর্ধিত শিল্পী ডালিয়া নওশিন। তিনি প্রথমে পরিবেশন করেন নজরুল-সৃষ্ট রাগের গান 'দোল চাঁপা বলে দোলে’। তার পরিবেশিত দ্বিতীয় গানটি ছিলো 'কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া’।
এই বয়সেও গান দুটিতে তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। দর্শক সারিতে বিরাজ করছিল পিনপতন নিরবতা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন শিল্প-সমালোচক রফিক সুলায়মান।