প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সুদর্শন চেহারার যুবক আল আমিন দেওয়ান আযানকে দেখলে কারো মনে হবে না সে প্রতারক বা চোর। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের বাসায় চুরির ঘটনায় জড়িত আল আমিন দেওয়ান আযানকে গ্রেফতারের পর বের সব থলের বিড়াল । জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আল আমিনের সব প্রতারনার কৌশল। বুধবার বিকালে কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টোরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচারক খন্দকার আল -মঈন ।
ভিকটিম স্বর্ণা আক্তার বলেন চুরির ঘটনার আগে কোন ভোবেই বুঝতে পারেনি তারা আল-আমিন এতো বড় প্রতারক ।
র্যাব জানায় আল-আমিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন আইডি খুলে নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে সুন্দরী নারীদের আকৃষ্ট করতে নিয়মিত বিভিন্ন স্টাইলে ছবি পোস্ট করতো। সুদর্শন চেহারার যুবক আল আমিনের ছবি দেখে অনেক নারীরা তার সাথে সখ্যতা করতো, আর এই সুযোগে প্রতারক আল-আমিন নারীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মূল্যবান সম্পদ নিয়ে তার সাথে সকল যোগাযোগের সকল মাধ্যম বন্ধ করে দিত । একই কৌশলে ক্রিকেটার স্বর্ণা আক্তারের কলিগ আরেক ক্রিকেটারকে বিয়ে করে একই বাসায় থাকতো আলমিন , পরে চুরি করে আত্বগোপনে চলে যায় সে।
২০১৬ সার থেকে আল-আমিন এ ধরনের প্রতারনা শুরু করে ।
গেফতারের সময় আল-আমিনের কাছ থেকে ০৪টি আইফোনসহ ০৫টি মোবাইল ফোন, ০১টি চেক বইয়ের পাতা, ০১টি মাস্টার কার্ড, বৈদেশিক মুদ্রা, ০৩টি হাত ঘড়ি, ০৪টি চেইন, ০১টি নোজপিন, ০১টি ব্রেসলেট, ০২টি আংটি ও ০১টি হ্যান্ড ব্যাগ উদ্ধার করে র্যাব ।
ভোরের পাতা/ এমআরআই