প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আরও গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম (অবসরপ্রাপ্ত)।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডিতে অর্থাৎ প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা যাচাই-বাছাইয়ে জোর দিতে হবে। উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পুল করা হবে। কারণ, অনেক প্রকল্প পরিচালক দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। এ জন্যই দক্ষ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আব্দুস সালাম বলেন, সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্পের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় আরও নজরদারি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়মতো অর্থ ছাড় করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
বৈঠকে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রবণতা ত্যাগ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
কমিশন জানায়, এবারের বৈঠকে পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সরকারি বিনিয়োগের গতিধারা পর্যালোচনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রক্ষেপণের সাথে এডিপি বাস্তবায়নের বরাদ্দের অসামঞ্জস্যতা এবং সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন প্রক্রিয়াকরণ ও সংশোধন সংক্রান্ত নির্দেশিকা পরিমার্জন বা সংশোধন। এছাড়া, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের অগ্রগতি এবং সেক্টর বা বিভাগভিত্তিক উল্লেখযোগ্য বিষয়াদিও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ।