সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ও বুটেক্সের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে মধ্যরাতেও, আহত অর্ধশত   ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা   শীতকালে দিনে কতটুকু পানি পান করবেন   নভেম্বরের ২৩ দিনে এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স   সোহরাওয়ার্দী-কবি নজরুল কলেজে ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত   ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা   ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৭৯   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আসিফ মাহতাবের চাকরিচ্যুতি নিয়ে যা জানালো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ১:১৮ এএম আপডেট: ২৩.০১.২০২৪ ১:৩১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করা আসিফ মাহতাব উৎসের সঙ্গে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরনের চুক্তি নেই।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব কমিউনিকেশন্স শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।

এর আগে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে চাকরি খোয়ান শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস।

জানতে চাইলে আসিফ মাহতাব বলেন, তারা বিজ্ঞপ্তিতে আসল ঘটনাই বলেনি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নিয়ম হলো- কয়েকটি ক্লাস করানোর পর চুক্তি করে। আমি এরই মধ্যে একটি ক্লাস করিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল, সেটি সবার বোঝার কথা।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, আমি বাচ্চাদের পক্ষ নিয়েই কথাগুলো বলেছি যে, বাচ্চারা ভালো কিছু শিখছে না। কিন্তু, ব্র্যাক যেই সিদ্ধান্ত নিল, সেটি অনৈতিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকেই ট্রান্সজেন্ডার নীতি প্রচারে অর্থ বিনিয়োগের অভিযোগ ছিল। তাদের এমন সিদ্ধান্তে সেটি এবার প্রমাণ হলো। এখন মানসিকভাবে প্রস্তুত নই, তাই কোনো পদক্ষেপের কথা ভাবছি না।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রতিবাদ জানান। এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা এবং ওই দিনের অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব দাবি করেন, এ ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আসিফ মাহতাব গল্পটির ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। গল্পের কোথাও ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি লেখা হয়নি, লেখা হয়েছে থার্ড জেন্ডার। এ গল্পের মাধ্যমে থার্ড জেন্ডার (হিজড়া) হিসেবে পরিচিত জনগোষ্ঠী যারা আছেন, তারাও যে মানুষ এ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা সৃষ্টির বৈচিত্র্য, এটাকে অস্বীকার করা সম্ভব না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]