প্রকাশ: রোববার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। সেই সাথে ঠান্ডা-হিমেল বাতাসে কাঁপছে যমুনা পাড়ের শহর সিরাজগঞ্জ। তীব্র ঠান্ডায় নিম্নআয়ের মানুষগুলোর কর্মজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কসহ জেলার সকল সড়ক মহাসড়কে কুয়াশার কারণে যান চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে চালকদের। এছাড়াও তীব্র শীতের কারনে শীতজনিত রোগের প্রবনতা দেখাদিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে শীতের কারনে ফুটপাতের গরমের কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় বেড়ে গেছে। ছিন্নমুল মানুষগুলো শীতের কম্বলের জন্য মানুষের মানুষে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, শনিবার রাত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে মহাসড়ক। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছ। তবে দুপুরের দিকে আলোটা বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই গাড়ী চলছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে গড়ে ৫ শতাধিক রোগী চিকি’সা নিতে আসে। এর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ রোগী ঠান্ডাজনিতরোগে ভুগছে। তিনি বয়স্ক ও শিশুদের শীতে সবসময় শুষ্ক কাপড় ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়ায় উচ্চচাপ বলয়ের কারণে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। জানুয়ারী মাস জুড়েই শীত ও কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, জেলা এ পর্যন্ত ৫০ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। আরো ৬ হাজারের চাহিদা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিতরন করা হবে।