প্রকাশ: রোববার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর বাজারের দিন দুপুরে জুয়েলার্সের লুট হওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রোববার ২১ জানুয়ারি জেলার পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান প্রেস ব্রিফিংয় করে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন (৩০), মো. ফরহাদ (৩৯), মো. বাদশা চৌধুরী (২৩), মো. সজিব সুমন প্রকাশ শুক্কুর (২৬), মো. মিজান (২৮), মো. শফিক প্রকাশ সোহেল (৩২)।
পুলিশ সুপার বলেন, সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় গ্রেপ্তার আসামি ফরহাদ ও বাদশাসহ অন্য দুই পলাতক আসামি ঘটনার আগের দিন ১০ জানুয়ারি ফাজিলপুর বাজারে এসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে ওই দোকান দুপুরে বন্ধ করাসহ দুপুরে পুনরায় খোলার সময় পর্যবেক্ষণ করে।
ওই দিন দুপুরের খাবার শেষে বিকাল ৩টার সময় দোকান খোলার পর ৪ জন আলাদিন জুয়েলার্সে প্রবেশ করে আসামি ফরহাদ দোকান মালিকের সাথে দরদাম করে ১২শ’ টাকা দিয়ে একটি নাক ফুল ক্রয় করে। ঠিক ওই সময় অপর ৩ জন দোকানের কোন শোকেসে স্বর্ণালংকার আছে তা দেখে নেয় ও ভিতরে শাটার কেটে সহজে কোন পথে প্রবেশ করা যায় তা দেখে নেয়। আলাদিন জুয়েলার্সের পাশের গলি, সেলুন সহ সামনের পথ সবজির দোকান কিভাবে পাহারা দিতে হবে এবং চুরি করে কোন পথে সহজে বের হয়ে পালানো যাবে সেই পথ বাছাই করে নেয়।
পরিকল্পনা মোতাবেক পরের দিন ১১ জানুয়ারি আলাদিন জুয়েলার্স দুপুরে বন্ধ করে যাওয়ার পর তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক টিমে লিভার বাদশার নেতৃত্বে যে যার মত অবস্থান নেয়। গ্রেপ্তার আসামি আলাউদ্দিন দোকানের শার্টারের তালা কাটে, অন্যান্য আসামি গলির পথে পাহারায় থাকে। গ্রেপ্তার শফিক ব্যাগ নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার চুরি করে ব্যাগে ভরে পালিয়ে যায়।
এ সময় চোরেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ফাজিলপুর বাজার থেকে মহাসড়কে যায়। সেখান থেকে লোকাল বাসে ফেনী সদর ও সেখান থেকে লোকাল বাসে কুমিল্লায় চোরেরা পালিয়ে যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন, থোয়াই অংপ্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।
প্রসঙ্গত,গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে ফেনীর ফাজিলপুরে দোকান মালিক আলাউদ্দিন বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে গেলে আলাদিন জুয়েলার্স এ হানা দেয় চোর চক্র। তাদের একজন তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে অপর দুইজন বাইরে পাহারা দেয়। একপর্যায়ে তারা ৮২ লাখ টাকা ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ ও ক্যাশে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতে তিনি বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।