প্রকাশ: রোববার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে চার হাজার হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তীব্রশীতে কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে দরিদ্রদের মুখে।
রবিবার বেলা ১১টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নে বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এ কে এমনাজমুল হক।
প্রধানঅতিথির বক্তব্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ যে কোনো দুর্যোগেরসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করে। তিনি বলেন, মহামারি করানোর সময় বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কার্যক্রম মনে রাখার মতো। তারা হাসপাতাল নির্মাণ করে সাধারণ জনগণেরচিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছিল। বসুন্ধরা গ্রুপের এ মানবিক কার্যক্রম গুলোকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আরও বলেন, কেরানীগঞ্জকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে বসুন্ধরাগ্রুপ এগিয়ে এসেছে। তাদের ১০ কোটি টাকা অর্থায়নে পুলিশের স্মার্ট নজরদারির আওতায় এসেছে কেরানীগঞ্জ। শুধু তাই নয়, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপকে আমরা পাশে পেয়েছি। প্রতি বছরের মতো এবারও তারা কেরানীগঞ্জে হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণকরল।
বসুন্ধরাগ্রুপের প্রকৌশলী আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
কম্বল নিতে সকাল থেকে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ। কম্বলপেয়ে খুশি ৮০ বছর বয়সী সমেদন খাতুন। তিনি বলেন, এখন অনেক শীত পড়ে। শীত বস্ত্রের অভাবে রাতে অনেক কষ্ট করেছি। এ কম্বল পেয়ে একটু আরামে ঘুমাতে পারবো। আল্লাহ যেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারকে ভালো রাখেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাজারীবাগ থেকে আসা ৭৪ বছর বয়সী বিমলা বলেন, শীত এলেই অপেক্ষায় থাকিকবে বসুন্ধরার কম্বল পাব। গত কয়েকবছর বসুন্ধরার কম্বল দিয়েই শীত পার করছি।আজও খবর পেয়ে সকাল থেকে এখানে এসে দাঁড়িয়ে আছি। এবারও কম্বল পেয়ে আমি ভীষণখুশি। ভগবান বসুন্ধরার আরও উন্নতি দিক।কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের বীরবাগর এলাকার ৮৭ বছর বয়সী বাচ্চু মিয়া বলেন, আমারেও একটা কম্বল দিসে। প্রত্যেক বছরই কম্বল পাই। জানি না আগামী বছর বাঁচি কি না। তবে সব সময় দোয়া করবো, বসুন্ধরার মালিকসহ সবাইকে আল্লাহ সুস্থ রাখুক, গরিবদের আরও বেশি বেশি দেওয়ার ক্ষমতা দান করুক।
স্থানীয়রা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এ উদ্যোগ সমাজের অন্য বিত্তবানদের জন্য অনুকরণীয়। বসুন্ধরারএ মহৎ উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।