দেশের খোলা বাজারের নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভায় বসেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা।
এ সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সাথে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি এ সভা শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
পাশাপাশি ঘোষিত মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম ও পোলট্রি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এপ্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে জানান, এতদিন বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে সামলেছে। তবে এখন থেকে আমরা আর একা নই। আমাদের সঙ্গে অর্থ, কৃষি, মৎস্য প্রাণী, শিল্প ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর তো রয়েছেই। আগামীতে আমরা তাদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে এ সমন্বয়েই সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে।