প্রকাশ: রোববার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:০১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাবার মৃত্যু সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে ছেলে দেখেন তার নামে তৈরি হয়েছে মৃত্যুর সার্টিফিকেট। এমনটা দেখে বিস্মিত ছেলে বলরাম নন্দী।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদেন বলা হয়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন মৃত উত্তম নন্দীর ছেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমরগঞ্জের বাসিন্দা উত্তম নন্দী। পেশায় কৃষক ৫৪ বছরের উত্তমের পরিবারে আছেন স্ত্রী এবং দুই ছেলে।
উত্তমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই প্রৌঢ়। পরে দেখা যায় মৃত্যুর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে মৃত উত্তমের ছোট ছেলে বলরাম নন্দীর নামে। প্রথমে নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এমন ভুলও হয়! প্রশ্ন করছেন বলরাম।
বলরাম বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করি। ওই আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আমার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়। জানানো হয়, আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট সাবমিট হয়েছে। মেসেজের সাথে দেওয়া লিঙ্ক থেকে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখি অদ্ভুত কাণ্ড! মৃতের জায়গায় আমার নামই লেখা আছে।’
বলরাম মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে ভুল সংশোধন করে যাতে তার বাবার নামে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করুন কর্তৃপক্ষ।
ওই অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত বলেন, কী হয়েছে তা জানা নেই। এখন পর্যন্ত আমার কাছে এই অভিযোগ আসেনি। তবে কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়ে থাকলে সেটা আমরা দেখে নেব। সেখানে যদি দেখা যায়, আমাদের তরফে কোনও ভুল হয়েছে, তাহলে তা সংশোধন করে নেওয়া হবে।