তীব্র শীত এবং চলমান শৈত্যপ্রবাহের মাঝেই দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কথায় আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’। অব্যাহত ঘন কুয়াশার সাথে হাড় কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাঁপছে দেশের বেশিরভাগ এলাকা। কনকনে শীতে অনেকটাই কাবু জনজীবন।
এরই মধ্যে দুঃসংবাদ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ ৬ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন দিনের (৭২ ঘণ্টা) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তবে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আজ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক ভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
তীব্র ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখীরাও। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ- ঠান্ডাজনিত রোগ।
গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাতের তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। শ্রীমঙ্গলে ৯.৬, বরিশালে ৯.৭, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় ৯.৮ ডিগ্রি সে. ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ঢাকায় ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সে.। এমনকি বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী মহানগরী চট্টগ্রামে রাতের তাপমাত্রা ১২.২, কক্সবাজারে ১৩.৭ ডিগ্রিতে নেমে গেছে।